শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

পেকুয়ায় ইউপি সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট, মহিলাসহ আহত-১৬ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ মিছিল

বার্তা সম্পাদক / ৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

মফিজুর রহমান
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনায় স্থানীয় মেম্বার হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহর বসত ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাটের বিরুদ্ধে সহস্রাধিক নারী পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে স্থানীয় মেম্বারের প্রতিপক্ষ মাইকে ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহর বাড়িতে হানা দেয়। এসময় বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট সহ ব্যাপক তান্ডব চালায়। এঘটনার জের ধরে মেম্বার সমর্থিত লোকজনের ওপর নির্বিচারে হামলা চালালে নারী, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, নতুনঘোনা এলাকার আমির হোসেন (২৫), রুবি আক্তার (৪৭), জাকের হোসেন (৪৫), ওবায়দুল হোসেন (৭০), আজমগীর মানিক (৪৩), কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলী মর্তুজা (২৪), আবদুল গনি (৪৫), দিলুয়ারা বেগম (৬০), দশম শ্রেণির ছাত্রী শিফা আক্তার রিমা (১৭), জাকের হোসেন (৫০), আবুল কালাম (৫৫), শারমিন আক্তার (৪০), রমিজ আহমদ (২০), ইউসুফ (২২) ফাতেমা বেগম (৪৮), শহর আলী (৩৫) ও সিকদার (২০)। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার জের ধরে নতুনঘোনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্যের অনুগত সিকদার, শহর আলী ও ইউসুফ নামের তিনজনকে টানা হেচড়া করে তুলে নিয়ে যায়। এসময় ওই তিনজনকে আটকিয়ে বেদম মারধর করা হয়। পুলিশ জিম্মিদশা থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়ি ভাঙচুর ও দূর্বৃত্তদের হামলায় গ্রামবাসী আহতের এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে নতুনঘোনায় বিপুল নারী পুরুষ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় তারা হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে।
স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, জায়গা নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহ ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদুল করিম, আবদুল হক গংদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে গত দুদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাহমুদুল করিম, জাহাঙ্গীরসহ কয়েক শতাধিক উত্তেজিত লোকজন জড়ো হয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল্লাহর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা বাড়ি ভাঙচুর সহ তান্ডব চালায়। ইউপি সদস্যের নিকট আত্মীয়সহ গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এতে মারপিট শুরু হয়। এসময় লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও প্রতিপক্ষের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে সাইফুল্লাহর পক্ষের ১৬জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজাখালী ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য হোসাইন শহীদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। তারা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গুদারপাড় স্টেশনে জড়ো হয়। এরপর অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে তান্ডব চালায়। এলাকাবাসী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনজন আমার নিকটআত্মীয়কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
ইউপি সদস্য সাইফুল্লাহর স্ত্রী রীনা করিম বলেন, ভয়ে আমার স্বামী বাড়িতে থাকেনা। তিনি বাড়িতে আছেন এমনটা ধারণা করে মুলত স্বামীকে প্রানে হত্যা করতে জড়ে হয়ে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে আক্রমন চালায়। টাকা ও স্বর্নালঙ্কর লুট করে নিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার এসআই আপ্যায়ন বড়ুয়া বলেন, সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুজনকে উদ্ধার করেছি। তারা মেম্বারের অনুগত। তারা আহত ছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এব্যপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দুপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ