—-
মোঃ মাইনুল ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য কুমরপুর কুড়ার পাড় এলাকার মোঃ হাকিম আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ মর্জিনা বেগম এর ৪,সন্তানকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে কয়েক বছর ধরে অন্যের বাড়িতে কাজ করে আসছেন। মর্জিনা বেগমের সন্তানরা বড় হওয়ার পর তার বাবার সম্পত্তির ভাগ নিতে গিয়ে দেখেন ১৫০ শতক জমি মর্জিনা বেগমের স্বামী মোঃ আব্দুল হাকিমের প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা জালিয়েতি করে তার বাবার কাছ থেকে লিখে নেয়।
গত ২০/০৫/২০২৫ ইং ২১৭২ নং” হেবার ঘোষনা পত্র” দলিলটি সম্পাদিত হয়। উক্ত দলিলটি সম্পূন্ন ভাবে চক্রান্ত মূলক ও জোড় সাজক। দলিলের দাতা পিতাঃ মোঃ আব্দুল হাকিম, পিতাঃ মৃত আব্দুল কাদের বকস ওরফে জেলালী। আমার স্বামীর ০২ (দুই) টি পরিবার প্রথম পক্ষে ০৩ পুত্র এবং ০৭ কণ্যা এবং দ্বিতীয় পক্ষ ০৩ পুত্র ০১ কণ্যা। আমার স্বামীর বয়স ৭৫ বছর, দীর্ঘ দিন যাবৎ মানুষিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ এর মধ্যে আমার প্রথম পক্ষের ০৩ ভাই নিজ নামে ১৫০ শতাংশ জমি আমার পিতা কর্তৃক উক্ত হেবার ঘোষনা পত্র ০৩ ভাই গ্রহিতা হয়ে দলিল করে ফেলেন, আমরা দ্বিতীয় পক্ষ কোন ভাবে জানতে পারিনা। পরদিন লোক মাধ্যমে জানাতে পারি প্রথম পক্ষের ভাইরা দলিল করে নিয়েছে। তৎক্ষনাত সাব-রেজিষ্টার অফিসে গিয়ে খোজ খোবর নিয়ে দেখি পিতা সাজিয়ে দলিলটি হয়। তখন অফিসে গিয়ে উক্ত দলিলের জাবেদা নকল টি তুলি ইতি পূর্বে ঐ পক্ষ ১৩/০৫/২০২৫ ইং হেবার ঘোষনা পত্র দলিলটি সম্পাদিত করিতে চাইলে পিতার অনুপস্থিতে চক্রান্ত দলিলটি সম্পাদন করতে পারে নাই। তারপরও তারা ক্ষান্ত না হয়ে ২০/০৫/২০২৫ ইং তারিখে পিতা সাজিয়ে চক্রান্ত মূলক দলিল টি সম্পাদন করে ফেলে। এখানে আরো ব্যক্ত করা আবশ্যক যে আম শালিসের মধ্যে উপস্থিত ১ নং স্বাক্ষী মোঃ ছয়ফুর রহমান, পিতাঃ মৃত আব্দুল কাদের বকস ওরফে জেলালী বলেন দ্বিতীয় পক্ষের ০৩ পুত্রের ০১ পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান যে চক্রান্তকারী তার প্রমান হলো বাবার কাছ থেকে একই দিনে একই তারিখে একই নম্বর দিয়ে ৯.৫০ শং ও ৩৪.৫০শং জমির দলিল করে নেন। যাহার দলিল নং ৫৭১১/২৩ তারিখ ০৫/১১/২৩ ও ৫৭১১/২৩ তারিখ ০৫/১১/২৩ ইং। উপর দিকে দাতা আব্দুল হামিক একজন শিক্ষিত ব্যাক্তি তার প্রমান হলো বিগত ০৫/০৭/৯৮ ইং তারিখে ৩৩৯৪ নং দলিলটি নিজ স্বাক্ষরে মোঃ সৈয়ফুর রহমান, পিতা মৃত আব্দুল কাদের বকস ওরফে জেলালী এর নিকট বিক্রয় করে উক্ত দলিলটি আবেদনে সংযুক্ত থাকবে।
মর্জিনা বেগমের প্রথম পুত্র মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন আমার পিতাঃ মোঃ আব্দুল হাকিম গত ০৪/০৫/২০২৫ ইং ভীষন ভাবে অসুস্থ হলে রংপুরে নিয়ে গিয়ে ২২/০৫/২০২৫ ইং পর্যন্ত চিকিৎসা করাই কিছুটা সুস্থ হলে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসি। ১দিন পর পুনঃরায় অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক আবারও কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ২৪/০৫/২০২৫ ইং ভর্তি করাই, যথা নিয়মে ২৭/০৫/২০২৫ ইং রোগী সুস্থ হলে আমরা ভাইগণ সেই দিনেই অর্থ্যাৎ ২৭/০৫/২০২৫ ইং ডাক্তার সাথে আলাপ আলোচনা করে রোগীর ছাড়পত্র নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাই। তারা প্রকাশ করেন যে, ২৩/০৫/২০২৫ ইং আমরা দ্বিতীয় পক্ষ গ্রাম্য মহৎ ব্যাক্তিদের কাছে চক্রান্ত দলিলের বিচার চাইলে মহৎ ব্যাক্তির ওই দিনেই মোঃ ইউনুস আলী (বাচ্চু) এর বাড়ীতে শালিসি নামার আয়োজন করে, উক্ত শালিসে স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ, দ্বিতীয় পক্ষে মধ্যে মোঃমিজানুর রহমান সহ আমরা দ্বিতীয় পক্ষ ও আমার পিতা উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে গ্রাম্য শালিসি ব্যাক্তিরা চক্রান্ত মূলক দলিল টি সবার সামনে এবং পিতা সুম্মুক্ষে পড়ানো হইলে পরবর্তীতে উক্ত দলিলের ব্যাপার টি ০৫ (পাঁচ) জনের মধ্যে ০১ জন মোঃ আব্দুল মালেক পিতাঃ মৃত শাহাদৎ ওরফে জয়ফল দলিল টির বিষয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করিলে আমার পিতা আব্দুল হাকিম বলেন,এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না এবং আমি কোন দলিল করে দেই নাই,এরা আমার স্বাক্ষর জাল করে এ ভূয়া দলিল তৈরি করেছেন বলে সাংবাদিক সহ শালিসের গন্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মুখে একথা বলেন এবং উক্ত জবান বন্দিটি তার তৃতীয় ছেলে (২য় পক্ষ) নিজ মোবাইলে রেকর্ড টি সংরক্ষণ করেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন আমার প্রথম সতীনের ঘরের ৩,পুত্র ৭, কন্যা ১, মোঃ মিজানুর রহমান ২,মমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুল, ৩, ইউনুছ মিয়া (বাচ্চু )৪, মোছাঃ হাছিনা বিবি ৫,হাফিজা বেগম ৬,মাহফুজা বেগম ৭, হনুফা বেগম ৮,খালেদা বেগম ৯,চায়না বেগম ১০, নাজমা বেগম।এদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সহ কয়েকটি দপ্তরে প্রদান করেন। যেমনঃ-১। জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম ২। পুলিশ সুপার,৩। উপজেলা নির্বাহীঅফিসার, কুড়িগ্রাম সদর,৪। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি),৫। সদর সাব-রেজিস্টার অফিস,৬। তহসিলদার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন, কুড়িগ্রাম সদর।এবং ৭। পিতার কথা মোবাইল রেকর্ড সংরক্ষন করে জমা প্রদান।
