শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

ময়না:একটি নিষ্ঠুর গৃহের গল্প

সম্পাদক প্রকাশক / ২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

কবিতা প্রধান সানা

ঘর ছিল, কিন্তু ঘর ছিল না।
দেয়ালের ওপারে মা, পাশে চাচা—
আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল এক নিষ্পাপ মেয়ে,
যার চোখে ছিল প্রশ্ন,
যার মুখে ছিল না কোনো শব্দ,
তবুও, তার চুপচাপ চাহনিতেই ধসে পড়েছিল পাপের দুর্গ।

সে বলেছিল না কিছুই,
তবু মা ভয়ে কেঁপে উঠেছিল।
সে চিৎকার করেনি,
তবু চাচার শরীর কাঁপছিল ঘামঘন আতঙ্কে।

তার কান প্রথমে কেড়ে নেওয়া হয়,
যেন সে কিছু শুনতে না পায় আর,
তার মাথা ঠুকিয়ে ভাঙা হয়,
যেন স্মৃতিগুলো গলে পড়ে যায় রক্তে।

কিন্তু মৃত্যুও আসে না সহজে—
কারণ যন্ত্রণা বেছে নেয় এক ভয়াবহ রূপ—
চাচা তার শেষ নিঃশ্বাসটুকু রোধ করতে
ঠেলে দেন লজ্জার অতল গহ্বরে!

ময়না থেমে যায়…
তার চোখ স্থির হয়ে পড়ে,
আর শরীর নিস্তেজ।

তার লাশ রেখে আসা হয় মসজিদের ছাদে,
যেন পাপের দাগ ঢেকে দেওয়া যায় ইবাদতের ছায়ায়।

ইমাম আর মুয়াজ্জিন—
যারা আদায় করেন স্রষ্টার ডাকে সাড়া,
তাদের নামেই ওঠে দোষের ধ্বনি।
কেন?
কারণ তাদের মাথায় টুপি ছিল,
আর মুখে নীরবতা।

বিদেশ ফেরত বাবার কান্না তখন
ভাসিয়ে নেয় জড় পদার্থের সমাজ,
যেখানে মা হওয়ার মুখোশে
একটা জানোয়ার হেঁটে বেড়ায়!

এই কবিতা নয়,
এটা একটা মেয়ের রক্তে লেখা গদ্য—
যার নাম ময়না,
যার গল্প এখন শবদেহ নয়,
প্রতিবাদের আগুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ