জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
১৩ মার্চ ১৯৭১ জামালপুরের প্রথম ঐতিহাসিক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া (হিরু) ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও ১৩ মার্চ জামালপুরের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন পরিষদ জামালপুরের উদ্যোগে আলোচনা সভা – দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় শহরের পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৩ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কবি সাজ্জাদ আনসারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পতাকা উত্তোলক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া হিরুর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সাথী কবি আলী জহির, মহব্বত আলী ফকির, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাছ, পরিবারের পক্ষ থেকে মতিন মিয়া হিরু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সদস্য আবু সাফি রিমু, বাকী চিনু প্রমুখ।
এসময় জেএসডি ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা
সহ সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আমির উদ্দিন বলেন ১৩ মার্চ জামালপুরের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবসটিকে জামালপুর তথা সারাবাংলাদেশের এই প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই। ৬২ এর গঠিত গোপন সংগঠন স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদদের পরিকল্পনায় ১৯৭১ সালের ২ রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ৪ খলিফার অন্যতম নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আ স ম আব্দুর রব কর্তৃক স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মার্চ মাস জুড়ে সারা বাংলাদেশের ন্যায় জামালপুরেও ১৩ মার্চ ১৯৭১ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সুবিশাল ছাত্রজনতার সমাবেশে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রসংসদের নেতা (ভিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া হিরু কর্তৃক জামালপুরের গৌরীপুর কাচারি মাঠে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে ফেলে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় সেদিনই জামালপুরের প্রকাশ্য স্বাধীনতার ডাক আসে ছাত্রজনতার পক্ষে। আজকের পতাকা উত্তোলন দিবসের অঙ্গীকার বাংলাদেশ হবে সমতার, ন্যায্যতার ও মর্যাদার। সকল প্রকার বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জামালপুরের ২২ লক্ষ মানুষের সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত একটি আধুনিক গণকল্যাণের উপযোগী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে সকলের নিকট আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া হিরুর বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।।