
নিজস্ব প্রতিবেদক │ বান্দরবান
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বান্দরবানের ৩০০ নং সংসদীয় আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে সাচিং প্রু জেরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এর আগে দলীয়ভাবে সাচিং প্রু জেরী, মাম্যাচিং মার্মা ও জাবেদ রেজা — এই তিনজনের নাম কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে প্রস্তাব করা হয়েছিলো।
তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরী মনোনয়ন পান।
কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার পরও আলীকদম উপজেলা বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি কাটেনি।
গত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও মনোনীত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীর অনুসারীরা এবং জেলা কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রেজার অনুসারীরা একই দিনে আলাদা কর্মসূচি পালন করেন।
একই উপলক্ষে পৃথক অনুষ্ঠান আয়োজন করায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
আলীকদম উপজেলা বিএনপির একাধিক সমর্থক বলেন,
> “দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পরও যদি ঐক্য ফিরিয়ে আনা না যায়, তাহলে নির্বাচনের মাঠে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মহল মনে করছেন,
বিএনপি যদি দ্রুত অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসন করতে না পারে, তাহলে ভোটের মাঠে জামায়াত ইসলামী আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারে, কারণ বান্দরবানে জামায়াতের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই এবং তাদের সাংগঠনিক কাঠামো বর্তমানে বেশ দৃঢ়।
একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেন,
> “কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ না হলে, পাহাড়ি অঞ্চলের মতো সংবেদনশীল এলাকায় বিএনপির সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়বে।”
তবে জাবেদ রেজার অনুসারীরা এখনো আশাবাদী — তারা মনে করছেন,
> “চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগ পর্যন্ত প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ এখনো রয়েছে।”
অন্যদিকে একটি মহল মনে করছে,
> “বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিক সাচিং প্রু জেরীর জন্য এ নির্বাচন হয়তো শেষবারের মতো প্রার্থীতা হতে পারে।
তবে তরুণ নেতা জাবেদ রেজার জন্য সামনে অনেক সুযোগ ও সময় রয়েছে।”
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে —
দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পরও কেন বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না?
অনেকে আশঙ্কা করছেন,
যদি এই বিভক্তি চলতেই থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে সরকার গঠন হলেও বান্দরবানবাসী উন্নয়ন ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।