চেকপোস্টে দায়িত্বরতরা প্রতিটি সেগুন গাছে ৫০ টাকা ও প্রতিটি বাঁশে ৫ টাকা হারে ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে এসব পাচারের সুযোগ করে দেন।

টি আই মাহামুদ,

বান্দরবানের আলীকদমে বনবিভাগ ও ৫৭ বিজিবি’র যৌথ অভিযানে মালিকবিহীন বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ ও বাঁশ জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লামা বন-বিভাগের আওতাধীন মাতামুহুরী রেঞ্জের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন এলাহি, বিট কর্মকর্তা রনি পারভেজ ও স্টাফদের উপস্থিতিতে মাতামুহুরী ব্রিজের নিচ থেকে ২৪ পিস সেগুন গোল কাঠ ও ৬০০ বাঁশ জব্দ করা হয়।

এছাড়া গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরী নদী পাড়ের মংচাপাড়া এলাকায় ৫৭ বিজিবি’র বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ৩২.৭৪ ঘনফুট সেগুন গোল কাঠ জব্দ করা হয়। কাঠগুলো পরে মাতামুহুরী রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুপাড়া বন বিট কার্যালয়ের সামনে নদী চেকপোস্ট দিয়ে রাতের আধারে মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে কাঠ ও বাঁশ পাচার করা হয়। এ পাচার কাজে সহযোগিতা করেন চেকপোস্টে দায়িত্বরত ফরেস্ট স্টাফ তপন দাশসহ আরও কয়েকজন। অভিযোগ রয়েছে, চেকপোস্টে দায়িত্বরতরা প্রতিটি সেগুন গাছে ৫০ টাকা ও প্রতিটি বাঁশে ৫ টাকা হারে ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে এসব পাচারের সুযোগ দেন।

এ বিষয়ে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বড় আকারের সেগুন গাছ পাচার হচ্ছে এমন খবর স্থানীয়দের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি। তবে বাঁশের চালান আসার বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি। বাবুপাড়া নদী চেকপোস্ট দিয়ে কাঠ ও বাঁশ কিভাবে পার হলো তা তদন্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ফরেস্ট স্টাফদের গাফিলতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”