শিরোনাম
💔 “তুমি আমার নও আর—তবুও ভালোবাসি ফুয়াদ” মাধবপুরে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয় আর্চারি লিগে রাহিম হোসেন চৌধুরী ও ইয়াসিনের ব্রোঞ্জ জয় গজারিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দাসকান্দি বাজারের ৮টি দোকান পুড়ে ছাই বান্দরবানে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পরও কোন্দল থামেনি! – আলাদা দলীয় কর্মসূচিতে জনমনে প্রশ্ন আনোয়ারা ব্যাটারি চুরি নিয়ে দ্বন্দ্ব, হাতুড়ি দিয়ে আঘাত যুবক নিহত ‎দিনাজপুরে বিএনপির প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দাবিতে কাফন মিছিল আলীকদমে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন বদলগাছীতে শিক্ষার্থীদের তাড়া খেয়ে নদী সাঁতারিয়ে পালালেন সাবেক প্রধান শিক্ষক! মাটিরাঙ্গা পৌর মহিলা দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

গজারিয়ায় বিএনপিতে ‘আশ্রয়’ পাচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন!

সম্পাদক প্রকাশক / ১৬০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ওসমান গনি
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের কাইয়ুম দেওয়ান, হালিম দেওয়ান ও মাইনুদ্দিন দেওয়ান তিন সহোদর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এমনকী সুতার ব্যবসার সুবাদে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীদের গডফাদার শামীম ওসমান, মুন্সীগঞ্জে-৩ আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস ও হাজী ফয়সালের সাথে ছিলো গভীর সখ্যতা। শুধু এমপিরাই নয় সম্পর্কে থেকে বাদ যায়নি গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহমেদ জিন্নাহ৷ এতোকিছুর পরও আওয়ামী লীগের দোসর তিন সহোদর কে বিএনপিতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।

জানা যায়, তাদের নিজ এলাকা গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে ছিল তাদের একক আধিপত্য৷ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হিসাবে ছিল ব্যাপক পরিচিতি।  তবে ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে দেশের পট পরিবর্তনের পরে তিন ভাইয়েই হয়ে গেছে বিএনপি ঘরনার রাজনৈতিক নেতা।মুহুর্তেই পরিবর্তন করে ফেলেছে তিন সহোদরের ফেইসবুক আইডির প্রোফাইল পিকচার। সম্প্রতি স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠেছে তিন সহোদরের বিরুদ্বে। শোনা যাচ্ছে তারা জড়িয়ে গেছে এলাকায় মামলা বানিজ্যেও।  অথচ কেন্দ্রের নির্দেশনা আছে-বিএনপির এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যন্ত কোনো স্তরের কমিটিতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে যোগদান করানো যাবে না। কিন্ত গজারিয়ার চিত্র ভিন্ন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানান,ওই এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। অস্ত্র নিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার পরেও পুলিশ তাদের আটক করেছে না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদের মারধর করে তারা। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে তারা যা করেছে এখনো তারা গ্রামে এসে সাধারণ মানুষদের জুলুম অত্যাচার করছে। আওয়ামী লীগের যারা দোসর ছিলো তারা কি করে আবার বিএনপি হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়নের এক ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকালীন ১৭টি বছর হামলা মামলার শিকার হয়েছি। আমরা বাড়িতে থাকতে পারেনি। এখন দল আমাদের মূল্যয়ন করে না। যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিলো তারাই এখন টাকাপয়সা দিয়ে দলে প্রবেশ করছে।

জামালপুর গ্রামে ইয়ানবী জানান, আমরা গ্রামবাসী অবাক। যারা ছিলো আওয়ামী লীগের দোসর সন্ত্রাস। তাদের বাড়িতে কি করে পুলিশের ক্যাম্প গড়ার চিন্তা করছে। আমরা চাই গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা লক্ষে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পটি স্থাপন করা হোক।

বিষয়টি জানতে গজারিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ ও সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ