মুহাম্মদ এমরান,বান্দরবান
পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলা ৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। যাঁর মোট আয়তন ৬৭১.৮৩৯ বর্গকিলোমিটার। তার মধ্যে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আয়তন ১৯২.১২ বর্গকিলোমিটার। আয়তনে যেমন বড় জনসংখ্যা’ও বেশি এই ইউনিয়নে।
কিন্তু উপজেলায় সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ০৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের চারটি প্রধান সড়কের মধ্যে গত ১৫ বছরে একটিরও সংস্কার কাজ হয়নি, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, সড়কগুলোকে “ধান চাষের জমি” বলে উপহাস করছেন অনেকে।
ফাঁসিয়াখালীর স্হানীয় বাসিন্দা বাবুল বলেন, আমাদের ইউনিয়নে এখনো আধুনিক কালো রাস্তার ছোঁয়া লাগেনি বললেই চলে। অথচ, লামা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনবসতি এই ইউনিয়নে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের বসবাস সত্ত্বেও কেন এই ইউনিয়নের সড়ক ব্যবস্থার এমন বেহাল দশা, তার কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর খুঁজে পাচ্ছিনা আমরা।
ইউনিয়ের সচেতন মহল বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার এই করুণ পরিস্থিতি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কারের অভাবে ইউনিয়নবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে, জনবহুল এই ইউনিয়নের প্রতি কেন কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা? এলাকাবাসী দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এবিষয়ে লামা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আবু হানিফ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ইয়াংছা-ত্রিডেবা রাস্তাটির এই ভাংগন অংশ মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে জেলা অফিস হয়ে ঢাকা এলজিইডি সদর দপ্তরের পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই অনুমোদন হবে। এছাড়া উক্ত রাস্তা ১৫.৭০ কিলোমিটার একই প্রকল্পে (২য় পর্য়ায়ে) অনুমোদিত হয়ে আছে এবং প্রাক্কলন প্রস্তুত করে ঢাকা সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করি চলতি অর্থ বছরেই বরাদ্ধ দিবে। এবং কবিরার দোকান হতে বগাইছড়ি সড়কের কাজ কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে।