শিরোনাম
সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মাধবপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা বান্দরবানের লামা ভ্যালি: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন বাংলা গানের জগতে আশীষ খীসার আত্মপ্রকাশ গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে আলীকদমে কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগাং ক্লাসিকের দায়িত্ব হস্তান্তর-গ্রহণ এবং ডিজি টিম সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন  বিজেপি যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে– কন্যা সুরক্ষা যাত্রা ও সমাবেশ সালমান আহমেদের কথায় খুশবুন বিন্দুর নতুন গান কুড়িগ্রাম-১ আসনে গণসংযোগ চালাচ্ছেন সাবেক ছাত্র নেতা ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান মারুফ আলীকদমে বিএনপির উদ্যোগে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিজয় র‌্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত মাদকের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব এবং চিকিৎসা – শাহ জামান ( আলো মাদকাসক্তি পূর্ণবাসন কেন্দ্র) 
সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

চরম জনবল সংকটে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: বিঘ্নিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

সম্পাদক প্রকাশক / ৬৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

ক্রমাগত বাড়তি রোগীর পরিসংখ্যানে হাসপাতালটি ৫০শয্যায় উন্নীতকরণ দরকার-ডা.মুজিব

মফিজুর রহমান,

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ২লক্ষাধিক মানুষের সরকারী চিকিৎসা সেবার একমাত্র অবলম্বন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির মান্যবর সদস্য মৃত্যুঞ্জয়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ
প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৮ সালে সৌদি সরকারের আর্থিক সহযোগীতায় এ

হাসপাতাল নির্মাণ করে। তখন থেকে একটি প্রকল্পে পরিচালনা করছিলেন, পরে এটি ২০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। বর্তমানে ৩১শয্যায় রূপান্তরিত হয়েছে। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেও বহির্বিভাগ ও আবাসিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৩১শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসকের সরকারী স্বাস্থ্য বিভাগের জনবল বিধি অনুযায়ী এমবিবিএস চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। হাসপাতালের প্রধান কর্তা ছাড়া চিকিৎসক ৯জন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৭জন চিকিৎসক থাকলেও সেখানে আছেন ৫জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ৪জন কনসালটেন্ট পদে রয়েছেন ২জন, মেডিকেল অফিসার ৩জন স্পেশালিষ্ট ৪জনের ২জন রয়েছে। নির্ধারিত সার্জারি কলসালটেন্ট ও মেডিসিন কনসালটেন্ট পদে কেউ নাই। নার্স কর্মকর্তার ২৫ পদে ২০জন উপস্থিত থাকলেও রোগীর চাহিদা অনুযায়ী ডাক্তার নার্স কর্মকর্তা না থাকায় বাড়তি রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা প্রেসনে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়েও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের মান সম্মত চিকিৎসা দিতে পারছেনা। সার্জন কনসালটেন্ট স্পেশালিস্ট প্রধান হিসাব রক্ষক ফার্মাসিস্ট, সিনিয়র নার্সের পদ সহ গুরুত্বপূর্ণ পদবীতে লোকবল না থাকায় বর্তমানে চিকিৎসা সেবার মান নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। গত মাসের চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর হিসাব বিবরনীতে দেখা গেছে বহির্বিভাগে ২২৫৪২জন, জরুরী বিভাগে ৫৩২৮জন, আবাসিক তথা ওয়ার্ড়ে ১৪০১ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
স্পেশালিষ্ট দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈকালিক সেবা দিয়ে আসা কার্যক্রম চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে। অপারেশন টিয়েটর, প্যাথলজি সেবা, ব্লাড ব্যাংক চালু রয়েছে। এক্সেরা সেবা চালু থাকলেও কোন প্রকার ইনষ্ট্রোমেন্ট সরবরাহ করা হয়না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৩১ শয্যাশায়ী তথা আবাসিক চিকিৎসার ব্যবস্থার বিপরীতে ১শ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি দুজন চিকিৎসক প্রেসনে চমেক হাসপাতালে প্রশিক্ষণের জন্যে চলে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছেন। জরুরী ভিত্তিতে শূণ্য পদ পূরণ করা না হলে চিকিৎসা সেবা আরো অবনতি হয়ে যাবে হাসপাতালের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। জরুরী বিভাগে দৈনিক গড় রোগীর সংখ্যা ১শ ৮০জন হলেও ডাক্তার ও নার্স সংকটে দায়িত্বরতদের হিমশিম খেতে হয়। পেকুয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারি নিত্তনৈমত্তিক ঘটনায় আহতদের চাপ জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবার অন্যতম ব্যাঘাত বলেও অনেকে মনে করছেন। ওয়ার্ড়ে চিকিৎসারত অনেক রোগী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানাগেছে ওয়ার্ড়ের বেড থেকে ডাক্তার দেখাতে অনেক সময় জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে আসতে হয়। নার্সরা কোন ভাবেই রোগীর বেডে গিয়ে সেবা দিতে রাজি হয়না। বার বার ধরনা দিয়েও তাদের কাছ থেকে সহজে সেবা নেয়া যায়না বলে আক্ষেপ করেছেন অনেকে। হাসপাতালের টয়লেট অপরিচ্ছন্ন থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফার্মেসীতে কখনো দারোয়ান পর্যন্ত ওষূধ দিতে দেখা গেছে। সুইপার ঝাড়ুদারও নার্সিং ও অনেক সময় নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে প্রচার রয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে পেরে কিছুটা হলে স্বস্থিতে আছি। চিকিৎসক সহ সকল পদে জনবল চাহিদা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হলে জনবল সংকটের অবসান হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরো বলেন ক্রমাগত বাড়তি রোগীর সংখ্যা পর্যালোচনায় হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা দরকার এবং সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ