বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার প্রতিটি এলাকার পাশাপাশি সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ কলারঝিরি এলাকায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে চুরি ও মাদকসেবী এবং বিক্রেতার সংখ্যা।
গত কয়েকদিনে আলীকদম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল সংলগ্ন কয়েকটি দোকান এবং কলারঝিরি এলাকার দোকান ও বসতবাড়িতে চুরি হয়েছে।
প্রায় প্রতি রাতেই দোকান অথবা বসতবাড়িতে সংগঠিত হচ্ছে চুরির ঘটনা। দোকানের বিস্কিট, চানাচুর, নগদ টাকা, সৌরবিদ্যুতের প্যানেল-ব্যাটারী থেকে শুরু করে বাড়ির হাঁস- মুরগী কিছুই বাদ দিচ্ছেনা তারা। তাদের অত্যাচারে দোকান-ই বন্ধ করে দিয়েছেন এক কুলিং কর্ণার ব্যবসায়ী।
গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত চুরির ঘটন ঘটে চলছে আলীকদম সদর ইউনিয়নের ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল ও কলারঝিরি এলাকায়। ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মতিনের অফিসে থাকা একটি টেলিভিশন এবং সোলার প্যানেলও চুরি করে নিয়ে যায় তারা।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এই এলাকায় থাকা রবি আজিয়াটা কোম্পানির টাওয়ারের নেটওয়ার্ক সাপ্লাই বন্ধ থাকায় সংঘটিত কোন ঘটনা সম্পর্কে প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক অবহিত করতে পারছি না।
এবিষয়ে সদ্য চুরি হওয়া ফার্মেসী মালিক শিবু কর্মকার বলেন, আমার দোকানের পেছনের মাটির দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চোরেরা, দোকানের ক্যাশে থাকা ১৫ হাজার টাকার, কিছু মালামাল ও সোলারের ২টি ব্যাটারি নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে নগদ টাকা, টিভি, সিগারেটসহ অন্যান্য কিছু মালামাল চুরি হয়। দোকান লাগোয়া একটি বাড়ি থেকে হাঁস মুরগী নিয়ে যায়।
শিবু কর্মকার জানান, তারা এলাকায় চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী, পরবর্তীতে আরো বড় ধরনের ক্ষতির আশংকায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনা। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি বাক-প্রতিবন্ধীর দোকানও, এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ওই প্রতিবন্ধীর দোকানে পরপর ৩বার চুরি করে তারা।
৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মতিন বলেন, কলারঝিরি আমার ব্যাক্তিগত অফিস থেকে একটি সিঙ্গার টেলিভিশন ও ২টি সোলার প্যানেল চুরি করেছে তারা।
তিনি আরো জানান, ওই এলাকার চিহ্নিত কিছু উশৃংখল মাদকসেবী যুবক এসব কান্ড ঘটাচ্ছে, এব্যাপারে থানায় এবং আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও অবহিত করা হয়েছে।