আমি নিজে আহামরি অনেক বড় নেতা হবো বা অনেক কিছু হবো এর নূন্যতম ইচ্ছেও আমার নেই।
❝তবে আমি মনথেকে চাই আমার ভাই, আমার নেতা শ্রদ্ধেয় Abu Afsan Mohammad Yahya ভাইকে মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন সফলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাক। এই মানুষটা সাধারনে অসাধারন। আল্লাহপাক উনাকে বহুগুণে গুণান্বিত করেছেন, যা সবার মধ্যে থাকে না। একজন ছাত্র হিসেবে আফসান ভাই তৎকালীন এবং বর্তমানেও বাংলাদেশের সেরা দশটা কলেজের একটা রাউজক কলেজ। ভাই রাউজক কলেজ থেকে এইসএসসি সম্পন্ন করেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে জায়গা করে নিয়েছিলেন। আফসান ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। বলতে পারি বাংলাদেশ ভবিষ্যতে একজন অর্থনীতিবীদ পেতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। যার ইঙ্গিত অর্থনীতি প্রাসঙ্গীক ভাইয়ের আরটিভির ২৮ শে জুন ২০২৫ এর টকশো বলে দেয়। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আফসান ভাই, ১/১১ তথাপি ওয়ান ইলাভেনে সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকার রাজপথে নেতৃত্বে দিয়েছেন এবং সাধারন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন।যা আরটিভির পর্দায় এখনো ভাসে। ওই আন্দোলনে সফলও হয়েছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। সহ সাধারন সম্পাদক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ( খোকন- শ্যামল)। সাংগঠনিক সম্পাদক ( শ্রাবণ- জুয়েল)। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের চলমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলের কঠিন হতে কঠিন অসময়ে শতাধিক মামলার জুড়ি কাঁধে নিয়ে রাজপথে শতভাগ সক্রিয় ছিল, আছে। আলহামদুলিল্লাহ। বহুবার গুম হয়েছেন। ফেরারি জীবনযাপন করেছেন মাসের পর মাস। জেলে ছিলেন বহুবার বিভিন্ন মেয়াদে। বহুবার প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ২০২২ সালের ২৪ মে তৎকালীন ছাত্রলীগের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। বলা যায় আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন দৃতীয় জীবন দান করেছেন। যে নির্মম আঘাতের খবর জাতীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে ধারণ করা হয়েছিল, যা এখনো আছে, বিশেষ করে ওইদিনের নিউজটা সময় টিভির পর্দায় আজ অবধি জীবন্ত স্বাক্ষী হয়ে আছে।
এতকিছুর পরও একটি মুহূর্তের জন্যও আপোষ করেননি।
একজন বক্তা হিসেবে আফসান ভাই অতুলনীয়, উনার কথা বলার মধ্যে রয়েছে যৌক্তিকতা, সৃজনশীলতা, আপোষহীনতা, মাধুর্যতা, যা একজন মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়, যা একজন মানুষকে আকৃষ্ট করে, যা একজন মানুষকে ভাবায়।
একজন অর্গনাইজার হিসেবে আফসান ভাই চমৎকার, দলের দুঃসময়ে ঢাকার উত্তপ্ত রাজপথে সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে আফসান ভাইয়ের নেতৃত্বে মিছিল, প্রতিটা দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ, রাজপথে প্রতিটা কর্মসূচি সফল করার বিষয়টা সবার নজর কেড়েছে।
এবার আসা যাক ৫ই আগস্টের পরে, ক্ষমতার বদৌলতে আফসান ভাই, ৫ই আগস্টের পর দলের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে, বলা যায় দলের সুসময় চলছে।
৫ই আগস্টের পর হতে আজ অবধি কেউ বলতে পারবেনা আফসান ভাই একটা পয়সা চাঁদাবাজি করেছে, দখলবাজি করেছে, টেন্ডারবাজি করেছে। কেউ বলতে পারবেনা কোনো সরকারি, অফিস আদালতে তদবির করেছে।বরং গর্ব করে বলতে পারি ৫ই আগস্টের পর সাধারন শিক্ষার্থী এবং আমজনতার কাছে আফসান ভাইয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। গর্ব করে বলতে পারি, আফসান ভাই বর্তমান সময়ে সারা বাংলার ছাত্রসমাজের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ছাত্রনেতা।
এবার তথাপি ঈদুল আযহা-২০২৫ উদযাপন করতে ভাই নিজ বাড়িতে আসছিলেন। আমরা ভাইকে রিসিভ করতে কক্সবাজার গিয়েছিলাম।দিনটি ছিল শুক্রবার। ভাইকে নিয়ে আসার পথে জুমার আজান হয়েছিল, রামু চা বাগানের কাছাকাছি পৌঁছলে। আজান হওয়ার সাথে সাথে ভাই গাড়ি থামিয়ে রামু চা বাগান জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে আমরা চলে আসি অতঃপর ভাইকে বরণ করে নিতে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী শত সহস্র মোটর সাইকেল এবং গাড়ি সহ আমরা ফাসিয়াখালী হতে লামায় চলে আসি। নেতাকর্মীদের বিদায় দিয়ে ভাই বাসায় প্রবেশ করেন, কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসেন, ভাই সহ আমরা লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গল্প করি। একটুপর মাগরিবের আজান হলো সাথেসাথে ভাই আমাদের সবাইকে নিয়ে স্কুলের সামনের মসজিদে যেয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিন ভাই সামাজিক সফরে আমার জন্মভূমি আলীকদমে এসেছিলেন, আমরা ভাইকে রিসিভ করতে আলীকদম উপজেলার শুরুর দিক তথস শিবাতলী নামক স্থানে অপেক্ষা করি, ভাই পৌঁছালে ভাইকে নিয়ে আলীকদম সদরে চলে আসি। নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সামাজিক দাওয়াত শেষ করে ভাইয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম, ফেরার পথে আলীকদম ক্যান্টিন মোড় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে মাগরিবের আজান হয় সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে ক্যান্টিন মোড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। ভাই যেদিন ঢাকায় চলে যাচ্ছিলেন সেদিন আমরা ভাইকে বিদায় দিতে যায়, পথিমধ্যে কুমারি নামক এলাকায় মাগরিবের নামাজের সময় হয় সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে কুমারী বাজার জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। এর মাস পাঁচেক আগে ভাই বাশখালী উপজেলায় সাংগঠনিক সফরে আসছিলেন। সাথে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান ভাইও আসছিলো এবং সাথে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। আমি অধমও সাথে ছিলাম। বাশখালী সম্ভবত জলদী বাজারে আমার বাজারের নামটা যথাযথভাবে মনে নেই, বাজারে কর্মসূচী চলাকালে মাগরিবের নামাজের আজান হয় সাথে সাথে কর্মসূচি বন্ধ করে বাজার মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। জ্বী উনিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রদ্ধেয় আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া ভাই।
দেশে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীনদের ছাত্র রাজনীতির অপব্যবহারের ফলে অবিভাবক এবং সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে এক ধরনের নীতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে। যার ফলে তারা ছাত্র রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি হারানো ইতিবাচক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সময়ে আফসান ভাইয়ের বিকল্প নেই। ইনশাআল্লাহ এতটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, আফসান ভাইয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সারা বিশ্বে মানবিক, সৃজনশীল, বৈষম্যহীন, শিক্ষাবান্ধব এবং পরিবেশবান্ধব একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে ইনশাআল্লাহ❞।
এই মানুষটা চাইলেই নিমিষেই ইউরোপ আমেরিকা যেয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন। তিনি তা না করে নিজের জীবনের সকল সম্ভবনাকে বিসর্জন দিয়ে দেশ এবং মানুষের তরে নিজের সমস্ত সম্ভাবনার বিসর্জন দিয়েছেন। ভাইয়ের যে গুণাবলিটা আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরাণীত করে, ভাই শো অফে বিশ্বাসী না,একদমই না। বর্তমানে কে না চাই বাহবা পেতে, কে না চাই সবাইকে দিয়ে নিজের গুণগান গাওয়াইতে। কিন্তু আফসান ভাই এর সম্পূর্ণ বিপরীত। ভাই ঈদ করতে আসবে। এই বিষয়টা আমাদের নিশ্চিত করেছে আগের দিন রাতে। অথচ এর এক দুই মাস আগ থেকে আমরা হাজারো চেষ্টা করেছি ভাই ঈদে বাড়িতে আসবে কিনা তা জানতে। ভাই নিশ্চিত করে বলেই নি।আমরা চেয়েছিলাম ভাইয়ের আসাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের একটা সংবর্ধনার আয়োজন করতে।কিন্তু ভাই এতে রাজি ছিলেন না। এমনকি আসার দুই তিন দিন আগেও চেষ্টা করেছি। ভাই তখনও নিশ্চিত করেনি। আসার আগের দিন রাতে নিশ্চিত হতে পেরেছি ভাই আসবে। অন্যদিকে ভাইকে নিয়ে লিখালিখির কারণে ভাইয়ের কাছ থেকেই অনেকবার কথা শুনেছি। অথচ বর্তমান রাজনীতিতে নেতারা এসব করার জন্য আলাদা লোক রাখে। সত্যি আমার নেতা হওয়ার দরকার নেই। আমার ভাই যদি সফলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, আলহামদুলিল্লাহ। তখন এটা ভেবে শান্তি পাবো একজন ভালো মানুষের সাথে রাজনীতি করেছি। এমন একজন মানুষের সাথে রাজনীতি করেছি যার দ্বারা কেউ কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হবে না ইনশাআল্লাহ,উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।
লেখায়ঃ আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, সদস্য সচিব, বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্রদল।