আলীকদম সংবাদদাতা
নিয়মিত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে আলীকদম উপজেলার মানুষ। এমনিতে দিনে ৪-৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা, তার উপর শীত, গ্রীষ্ম অথবা বর্ষা সব ঋতুতেই গাছ ছাঁটার অজুহাতে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।
এরমধ্যেই পাওয়া গেছে বিদ্যুতে খুঁটি বিতরণে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার তথ্য, যার সাথে সরাসরি জড়িত আলীকদম উপজেলায় দায়িত্বরত (বিদ্যুৎ) সাহায্যকারী বুলবুল।
এলাবাসীর অভিযোগ এবং বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের খুঁটি সরবরাহের জন্য নির্ধারিত সরকারী ড্রয়িং এলাকায় তথ্য গোপন করে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে লাইনম্যান বুলবুল ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
এলাকাবাসী জানান, বিদ্যুতের একটি খুঁটির জন্য ৫ হাজার থেকে ৩০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে এই বুলবুল ও ঠিকাদার।
আলীকদম সদর ইউনিয়নের বাজার মার্মা পাড়া। নয়াপাড়া ইউনিয়নের আব্বাস কারবারি পাড়া, মংচা পাড়া, কলারঝিরি। চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের তারাবুনিয়া, মংহ্লা পাড়া, শিবাতলী এলাকার বাসিন্দারা জানান, এলাকার সর্দার অথবা বিশেষ কোন ব্যাক্তির মাধ্যমে ঘরপ্রতি ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করে বুলবুলের হাতে দেয়ার পর বিদ্যুতের খুঁটি দেয়া হয়।
তারাবুনিয়ার এক পরিবারের কাছ থেকে খুঁটির জন্য ৩০হাজার টাকা নেয়া হয়েছে বলে জানান ওই এলাকার জনসাধারণ। তবে তথ্য দিলে লাইন কেটে দেবে এই ভয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেননি ওই ব্যাক্তি। ওই এলাকার জনসাধারণ জানিয়েছেন, খুঁটি বসানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে পরিবার প্রতি ২-৩ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সর্দার কবির হোসেন, চাহিদা অনুযায়ী টাকা হওয়ায় টাকা ফেরত দেয় ঠিকাদার। পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে টাকা ছাড়াই খুঁটি বসানো হয়েছে বলে জানান সর্দার কবির হোসেন।
আর এসব খুঁটি সংগ্রহ করা হয় ড্রয়িং এলাকা থেকে। বিশেষ একটি সূত্র জানায়, একটি খুঁটি থেকে অন্য একটি খুঁটির দূরত্ব ১০০ ফুট হওয়ার নিয়ম থাকলেও খুঁটি বসানো ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে এর দূরত্ব বাড়িয়ে কয়েকটি খুঁটি বাঁচিয়ে নেয়া হয়, যা পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তি অথবা এলাকায় বিক্রি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ সহযোগী বুলবুল বলেন, টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমাকে চিনে কি না সন্দেহ। এবং আলীকদম উপজেলার সরকারী ড্রইং তার কাছে নেই বলে জানান তিনি।
লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি কল রিসিভ করেননি।