শিরোনাম
লামায় “মানবাধিকার কর্মী” পরিচয়দানকারী আব্দুল্লাহ ইসলাম সুমন ওরফে টোকাই সুমন গ্রেফতার মরুভূমে প্রেমের দরিয়া: নজরুলের ‘ওরে কে বলে আরবে নদী নাই’ দূর্বিপাক – কলমে: দেলোয়ার হোসেন  আলীকদম উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের খুঁটি দুর্নীতি, অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তের লামা-আলীকদমে পর্যটক সুরক্ষায় ‘টুরিস্ট সাপোর্ট অ্যাপস’ তৈরির প্রস্তাব অসহায় যুবদলকর্মীর পাশে দাড়ালেন সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া লামায় সাংবাদিকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, গুলি ও স্বর্ণালঙ্কার লুট সহযোগী সদস্য সম্মেলনে জেলা জামায়াতে আমীর আনোয়ারুল আলম “পটিয়া হবে সুখী ,সুন্দর, উন্নত ,সমৃদ্ধ জনপদ” বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া জীনামেজু অনাথ আশ্রমের শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সম্পাদক প্রকাশক / ৪২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

“দোকানদার থেকে ৩দিনের জন্যে এন্টিবায়োটিক আনছিলাম, ২দিন খেয়েই সুস্থ হয়ে গেছি।ডাক্তারের কাছে গেলে তো কমপক্ষে ৭দিনের ঔষধ দিয়ে সবাই টাকা নিয়ে ফেলতো;”

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করার সময় আলেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছিলেন, “এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। কিন্তু অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবে না! তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।”

এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় “এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স”।

ধরুন, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। আপনি খেলেন ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আপনি সুস্থ হয়ে গেলেন। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেল। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করল নিজেরা নিজেরা।

তারা ভাবল, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকে না এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।

এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করে না!

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়াগুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকে না। তিনি যখন হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ওই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।

আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন ‘জ্যাকেট’এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করে না, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হাসপাতাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবে না। সামান্য সর্দিতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।

উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। “মেডিসিনের বাইবেল” নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে।

তথ্য  ও ছবি সংগৃহীত


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ