ওসমান গনি
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে,মিথ্যা হয়রানি মূলক অপপ্রচার,ভিত্তিহীন তথ্যের ব্যবহার সহ যেকোনো ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উভয় পক্ষের সঠিক মতামত না নিয়ে, দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বহির্ভূত ভাবে সংবাদ প্রকাশ করছে,মুন্সিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত স্থানীয়,অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আমার বিক্রমপুর’ এমন অভিযোগে,মুন্সিগঞ্জের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের উদ্যোগে ও ব্যানারে। হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে,তিন দফা দাবিতে,মুন্সিগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর সময় অনুযায়ী মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে অংশ নেয়,স্থানীয় ছাত্র জনতা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
কর্মসূচিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা,রায়হান রাব্বি,আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আসাদুল্লাহ আকাশের নেতৃত্বে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। এ সময় আমার বিক্রমপুর অনলাইন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক শিহাব আহমেদ সহ দীপ্ত টেলিভিশনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি কায়সার সামিরের,বিরুদ্ধে ব্যক্তি উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও চরিতার্থ করার লক্ষ্যে, বিভিন্ন হয়রানি মূলক সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের অভিযোগ তোলা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,শিহাব আহমেদ ও কায়সার সামির,দীর্ঘদিন যাবত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে,নানান ভাবে মানুষকে হয়রানি করে আসছে,পাশাপাশি সম্প্রতি সময় একজন ছাত্র প্রতিনিধিকে,মুঠোফোনে জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও আমার বিক্রমপুরের সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে দাবি করা হয়। যার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নানা আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এছাড়া ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হয়েও সাংবাদিকতার মত মহৎ পেশাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে,নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে শিহাব আহাম্মেদ ও কাইসার সামির। ফলে দ্রুত কথিত এই দুই সাংবাদিককের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এ সময় দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা না নিলে কর্মসূচি থেকে শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সকলের উপস্থিতিতে,তিন দফা দাবি তুলে ধরেন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা রায়হান রাব্বি। তিন দফা দাবির মধ্যে এতে উল্লেখ করা হয়। ১/ মিথ্যা সংবাদ প্রচার এবং একজন ছাত্রকে হুমকির কারণে সাংবাদিক শিহাব আহাম্মেদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। ২/ নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে,একজন সাধারণ ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার কারণে তাকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ৩/ সাংবাদিকতার এথিক্সের বাইরের রাজনীতির সাথে জড়িত, সকল সাংবাদিকদের দ্রুত অপসারণের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সংস্কার করতে হবে।
কর্মসূচি শেষে,মিথ্যা সংবাদ প্রচার,হয়রানি মূলক কর্মকান্ড,অবৈধ গ্রেফতার এবং হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যথা সময়ে তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে সর্বোচ্চ আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।