মো:মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম সদর এলাকার হলোখানা ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর কন্যা জান্নাতি খাতুন (১৫) কে গত ১০ মে ২০২৫ তারিখ গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তি হত্যা করে বাড়ির আনুমানিক ১০০ গজ সামনে ভূট্টা ক্ষেতের পাশে ফেলে রাখে। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে উক্ত সংবাদে কুড়িগ্রাম থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত লাশ উদ্ধার করে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে কুড়িগ্রাম থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে ভিকটিমের চাচা মোঃ খলিল হক (৫৫) বাদি হয়ে কুড়িগ্রাম থানায় একটি এজাহার করেন। এজাহার পর কুড়িগ্রাম থানার একটি চৌকস টিম উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে ভিকটিমের পিতা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর সাথে তার প্রতিবেশি মজিবর গং দের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে এবং জাহিদুল ইসলাম তার প্রতিপক্ষ মজিবর গং দের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার তারিখ ১০/০৫/২৫ ইং রাত্রি ৩ঃ০০ হইতে ০৬ঃ০০ ঘটিকার মধ্য যে কোন সময় তার স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় হলোখানা কাগজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী নিজ কন্যা জান্নাতি খাতুন (১৫) কে রড ও দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দিয়ে হত্যা করে ভুট্টা খেতে ফেলে রাখে এবং খরের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয় ।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি জনাব বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার কুড়িগ্রাম থানার ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করে মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে উক্ত ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন সহ মূল ঘাতক ভিকটিমের পিতা ১) মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ভিকটিমের মা ২) মোছাঃ মোর্শেদা (৩৮) বেগম ও ভিকটিমের চাচী ৩) মোছাঃ শাহিনুর বেগম (৪৫) দের গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমের পিতা জাহিদুলকে সাথে নিয়ে তার দেখানো বাড়ির পার্শ্বের বাঁশ ঝারে মাটির নিচে পোতা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১) ২০ মিঃলিঃ লোহার রড ২টি (লম্বা ৩৩ ইন্চি) একটি দা উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামী অদ্য ১২ মে ২০২৫ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে।