মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যান পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক একরাম- উদ – দৌলা ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান – উদ – দৌলা মিথুনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক সংবাদ দৈনিক কল্যান পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে দাবি করে আদালতে মঙ্গলবার মামলাটি করেন অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি। মামলাটি আমলে নিয়ে অভয়নগর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত অভয়নগ, যশোর এ যার সি আর মামলা নং- ৩২৫/২৫ মামলার আরজিতে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি দাবি করেন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত সার, সিমেন্ট, কয়লা ও শিপিং ব্যাবসায়ী। এছাড়া বেসরকারি পার্কের মালিক এবং জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং যশোর চেম্বার অব কমার্সের একজন সদস্য। তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে নিজ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে জাতীয়তাবাদি দলের প্রতি নিবেদিত। তার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সম্প্রতি রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক কতিপয় প্রতিপক্ষের দ্বারা অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে এবং বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনির নিকট থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গত ৫ মে দৈনিক কল্যান পত্রিকার প্রথম পাতায় “ ঘাট মাদক সব নিয়ন্ত্রনে অপ্রতিরোধ্য জনি” শিরোনামে মিথ্যাভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে তার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন করে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। বাদি তার আরজিতে দাবি করেন, পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান-উদ-দৌলা মিথুন সংবাদ প্রকাশের ৩/৪ দিন আগে একাধিকবার ফোন করে অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তার বক্তব্য ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকতার নীতি বিরুদ্ধ কাজ করেছেন। সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে আসাদুজ্জামান জনিকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাদি করেছেন, সংবাদি প্রকাশের আগে তাকে ফোন করা হয়নি এবং তার কোন বক্তব্য কোন মাধ্যম দিয়েই চাওয়া হয়নি। তিনি আদঅলতের কাছে সু-বিচার দাবি করেছেন।