শিরোনাম
বরবাদ’ নিয়ে সত্য হলো এমডি ইকবালের ভবিষ্যৎবাণী লবনের উৎপাদন খরচ কেজি ১৫ টাকা বিক্রি ৩.৫ টাকা লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত সহ লবণ চাষিদের ১৪ দাবি মাধবপুরে সিএনজি স্ট্যান্ডে গাঁজা সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার  প্রভুপাদ শ্রীল হরগোবিন্দ ভক্তিসিদ্ধান্ত রত্মাকর গোস্বামী স্মৃতি সংসদ আলীকদম আঞ্চলিক কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবী উৎসব উপলক্ষে আলীকদম ব্যাটালিয়নের প্রেস বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার রাত  তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতি ‘র আওতাভুক্ত রমহান ম্যানশন ৩য় তলায় ভয়াবহ আগুন মাধবপুরে থানার ওসি’র অভিনব উদ্যোগে উঠান বৈঠক পরকীয়ার জেরে প্রায় লক্ষ টাকা নিয়ে বাছিরের স্ত্রী শাহেদা উদাও! ৯ মাস যাবত শিশু ইয়াছিন বঞ্চিত দেশের সুন্দর পরিবেশ আনতে ,শতভাগ শিক্ষিত নাগরিক পেতে , শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক প্রয়োজন কলেজ পাড়া কর্তৃক আয়োজিত কলেজ গেইট T10 ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

পরকীয়ার জেরে প্রায় লক্ষ টাকা নিয়ে বাছিরের স্ত্রী শাহেদা উদাও! ৯ মাস যাবত শিশু ইয়াছিন বঞ্চিত

বার্তা সম্পাদক / ১০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

 

নারায়ণ সরকার নয়ন (হবিগঞ্জ)

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিমূলঘর গ্রামের মৃত মুইদুর আলীর ছেলে মোঃ বাছির মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ শাহেদা আক্তার প্রায় লক্ষ টাকা ও শিশু বাচ্চা ইয়াছিন কে নিয়ে উদাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাছির মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ শাহেদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা নাসির নগর উপজেলার ফান্দাউক পূর্ব গ্রামের মোঃ আসমত আলীর মেয়ে। এবিষয়ে স্বামী মোঃ বাছির মিয়া জানান, মোছাঃ শাহেদা আক্তার এর সহিত ইসলামী শরীয়তের বিধান প্রতিপালন করিয়া বিগত৪ঠা আগস্ট ২০২৩ইং তারিখে আমার সাথে বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। এবং আমি আমার স্ত্রী’র সাথে সুন্দর ভাবে সংসার শুরু করে আসছিলাম। আমার পিতা মাতা না থাকায় আমার স্ত্রী’র প্রস্তাবে সংসার জীবনের শুরুতে আমার শশুর  বাড়িতে থাকার প্রস্তাবে সরল বিশ্বাসে তাহাতে রাজি হই । আমি ভাংগারীর ব্যবসা করার সুবাধে আমার স্ত্রী’র কাছে নগদ কিছু টাকা পয়সা থাকিত। আমার অজান্তে আমার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং সু-কৌশলে বুদ্ধি পরামর্শ করে নানা অজুহাতে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন।

বিগত ২০২৩ইং সালের আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে আমার ব্যবসা করার মূলধন হইতে সর্বমোট ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা আত্বসাৎ করিয়াছেন। আমার তিল তিল করে জমানো টাকা ব্যবসা চালু রাখার জন্য আমার স্ত্রী’র কাছে চাহিলে কোন টাকা নেই বলে সোজাসাপ্টা কথা বলেন। পরে বিশ্বস্ত সূত্রে পরকীয়ার বিষয়টি আমি জানিতে পারি।

বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর আমার শশুর বাড়ি এলাকার তৎকালীন আওয়ামীলীগের ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক এবং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জসিম’কে দিয়ে নানা ভাবে আমাকে আর্থিক, সামাজিক, শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করান। এবং হুমকি দিয়ে বলেন, জামাই বাবু তুমি বিএনপি করতো কথা মাথায় রাখিও। বেশি বাড়াবাড়ি করলে দলীয় মামলায় আসামী করে জেল কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্হা করে দিব।

সমস্ত বিষয় অনুধাবন করিয়া ও বুঝিয়া

সমস্ত কিছু ভুলিয়া আমার স্ত্রী’কে নিয়ে ঢাকায় চলে এসে আগের ন্যায় সংসার করা শুরু করি।

তারপর থেকে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকিলে

আমার স্ত্রী সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। সারাক্ষন মোবাইলে বাজে মানুষের সাথে কথা বলতেন। মোবাইল ফোনে কার সাথে এত সময় নষ্ট কর, কে ঐ লোক জিজ্ঞেস করিলে তার কোন জবাব না দিয়ে উল্টো উক্ত বিষয় নিয়ে আমার শাশুড়ীর পরামর্শে ঢাকার বাসায় বাজে লোকজন এনে আমাকে মারধর, হুমকি ধামকি প্রদানসহ সংসারে ঝগড়া অব্যাহত রাখেন।

এরমধ্যে আমি জানতে পারি আমার স্ত্রী অন্তস্বত্তা, তাই সকল বিষয় ভুলিয়া মান সম্মানের ভয়ে আমি চুপ থেকে সংসার করতে থাকি। কিছু দিন যেতে না যেতেই আমার কাছে ৫০,০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দাবী করেন আমার স্ত্রী। পূর্বের ৮ লাখ টাকা কিভাবে নষ্ট করেছ তার কোন হিসেবে আজও দিতে পারনি আবার টাকা চাচ্ছ আমার কাছে? টাকা দিয়ে কি করবা বলার পর আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, আমার সাথে সংসার করতে হলে সব সময় এভাবেই টাকা দিতে হইবে। আমার স্ত্রী’র এমন কথা শুনে আমি হতবিহ্বল হতাশ হয়ে পড়ি।

গত ২রা ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে প্রতিদিনের ন্যায় বাসা থেকে কাজে বের

হওয়ার পর ঐদিন যে কোন সময় আমার বাসা থেকে আমার ব্যবসার কাজে রাখা নগদ প্রায় লক্ষ টাকা ও আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়ে যান আমার স্ত্রী। বাসায় ফিরে অনেক খোজঁ করে না পেয়ে আমি আমার শশুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি আমার শাশুড়ী সাথে সিলেট রয়েছে আমার স্ত্রী। মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রী’র সাথে যোগাযোগ করলে, আমাকে বলে সেখানেই আছি আমি ভালোই আছি। আমি ঢাকা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করিলে আমাকে বলে চলে যেতে এবং আর কোনদিন তাহার সহিত যোগাযোগ করতে মানা করে দেন। তারপর আমার শাশুড়ী সাথে যোগাযোগ করলে আমার শাশুড়ী মমতাজ বেগম বলেন, মেয়ে যেখানে খুশি সেখানে থাকিবে তুই ওর সকল খরচ দিবি নয়তো মামলা করে তোকে শায়ন্ত করবো। এই পরিস্থিতি দেখিয়া ও বুঝিয়া সেখান নিরুপায় হয়ে চলে আসি আমি । শুধু তা-ই নয় চলে আসার পরও নিয়োমিত খোঁজ খবর নিতে থাকি আমি। এর মধ্যে বিগত ১৪ই জুলাই ২০২৪ইং তারিখে আমার এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে যার নাম মোঃ ইয়াছিন মিয়া। সন্তান জন্মকালীন সময় সকল খরচ আমি নিজেই বহন করাসহ বর্তমানেও সন্তানের সকল খরচ বহন করে আসছি। কিন্তুক নিয়োমিত খরচের টাকা পয়সা নিলেও আমার সন্তানকে দেখার সৌভাগ্য হয় না আমার। তাই নিরুপায় হয়ে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি আইনের দারস্থ হতে বাধ্য হই। মামলা নং সি.আর মামলা নং-১৭৭/২০২৫ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (কা-৬), হবিগঞ্জ।

কেন আমার অবুঝ শিশু বাচ্চা কে আজ ৯ মাস যাবত বাবা অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে এর বিচারের জন্য আইন প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এভাবে আর কত বাবা তিলে শেষ হলে পরকীয়া নামক অপরাধের নিঃপত্তী হবে? এভাবে আর কত শিশু বাচ্চা বাবা’র আদর থেকে বঞ্চিত হলে শান্ত হবে আমাদের সমাজের পরকীয়াকারী মানুষ নামে অমানুষরা? এর শেষ বিহিত কোথায় জানতে চায় সচেতন মহলের ব্যক্তিরা।

সংবাদ সংগ্রহকালে এই বিষয়ে বাছির মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ী সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ