এম মনিরুল ইসলাম
খুলনা পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা প্রধান কার্যালয়। নান্দনিক সামরিক এলাকা খ্যাত বুড়িগোয়ালিনী প্রধান রেঞ্জ কার্যালয়। বন বিভাগ ও সহযোগী সংগঠন সিপিজি (ক্রাইম পেট্রোল টিমের)নিয়মিত টহল চলমান থাকলেও সুন্দরবনের গভীর থেকে, জলদস্যু/ডাকাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে প্রকাশ,শ্যামনগর উপজেলার শত শত মানুষ, বর্তমানে সুন্দরবনের জলদস্যুর মুক্তি পণের শিকার ভয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে। প্রচন্ড ভয় হতাশায় তারা আর সুন্দরবনে যেতে চাইছে না।
ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে দেশ নতুন রূপ নিয়েছে বিভিন্ন সংস্কার করা হচ্ছে তথাপি বিশ্বের একক ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা সহ সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে প্রতিনিয়ত মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা হচ্ছে অসহায় জেলে বাওয়ালিদের। বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান,শুনেছি সুন্দরবনের ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে,উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের সাথে কোন আপোষ নয়।
আসলে নতুন করে জন্ম নেয়া জলদস্য বাহিনী থানা হতে লুট করা অস্ত্র সহ অন্যান্য ভয়ংকর সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে থাকে।
সত্যটা এরকম উন্নত অস্ত্রশস্ত্র থাকায় বন বিভাগ অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার থাকে না। মাননীয় সরকারের বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিশ্বের ঐতিহ্য বাংলাদেশের অহংকার সুন্দরবন উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে নানান দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে।মায়ের মত আগলে রাখে।সুন্দরবনের মোট আয়তনের সামান্য অংশ ভারতের সীমারেখায় বাকিটা বাংলাদেশে অবস্থিত।
বিশ্বের একক ম্যানগ্রোভ সুন্দরতম।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি, সবুজের সমারোহ পাখিদের কিচিরমিচির ডাক,জোয়ারের ঢেউ।বনের গাছপালার সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে আছে।
হরিণের দল যেকোনো পর্যটক বৃন্দকে মুগ্ধ করে থাকে,এই সুন্দর স্থানে লজ্জাজনক, অপহরণমূলক ডাকাতি।অত্যন্ত নেককার ও লজ্জাজনক ঘৃণিত জঘন্য কাজ।মুক্তিপণের দাবিতে অসহায়দের অপহরণ।সুন্দরবনে জলদস্যু নির্মূলে সম্মিলিত বিশেষ টিম ব্যবহার করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আবেদন জানিয়েছেন জেলার শুধু ব্যক্তিবর্গ ও খুলনা বিভাগবাসী।