মো. ইসমাইলুল করিম
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় সরই ইউনিয়ন সুনামধন্য কোয়ান্টামের দায়িত্ববোধকে পরিকল্পিত বিরোধ বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত উপজেলা একটি মহল।
দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধংস করতে এই নীল নকসা। মঙ্গলবার (২৫ ই মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২০০১ সালে দূর্গম পাহাড়ে সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও এতিম শিশুদের জন্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির কোলে এ শিশুদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। বর্তমানে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থীর একাডেমিক শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা, চিকিৎসা, পোশাক, আহার ও আবাসন সহ সকল প্রকার শিক্ষা সামগ্রী ও জীবনোপকরণ দিয়ে আসছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এ স্কুলটিই দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ৩ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও লেখাপড়ার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে: যেখানে রাবার ফ্যাক্টরি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে সেটার নিকটবর্তী কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সুবৃহৎ ৩টি আবাসিক ক্যাম্পাস। যেখানে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। রাবার ফ্যাক্টরির কাজ শুরু হলে শব্দদূষণ বাড়বে এবং তার চেয়েও বড় সমস্যা দেখা দিবে রাবার প্রসেসিং-এর দুর্গন্ধ, যা চারপাশের পরিবেশকে অস্বস্তিকর করে তুলবে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যম্পাসটি, কারণ এটি নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরির ১৬০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত।
রাবারের দুর্গন্ধ ও মেশিনের উচ্চ শব্দের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে এই মেয়ে শিশু-কিশোরীরা। তাদের লেখাপড়া, খেলাধুলা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরিবেশগত একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।বিঘ্ন ঘটবে শতাধিক জিমন্যাস্টের নিয়মিত অনুশীলন: রাবার ফ্যাক্টরির ১৮০ মিটার দূরে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় ও আন্তর্জাতিক মানের জিমনেসিয়াম। যেখানে প্রতিদিন শতাধিক জিমন্যাস্ট অনুশীলন করে।উল্লেখ : কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের জিমন্যাস্টিকস দলই বর্তমানে জাতীয় জিমন্যাস্টিকস দলকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক জয় করে আনছে।
গত২০২১ সালে দিকে সিঙ্গাপুর ওপেন জিমন্যাস্টিকসে বাংলাদেশের অর্জনকৃত ২৫টি পদকের ২১টি ই অর্জন করে এ স্কুলের জিমন্যাস্টরা। আর এই অর্জনের আঁতুড়ঘর হচ্ছে এই জিমনেসিয়াম। কোয়ান্টাম রাবার ফ্যাক্টরি নির্মাণের বিরোধিতা করছে না। তারা চায় শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা। কারণ তারা এ সুবিধাবঞ্চিত ও এতিম শিশুদের দায়িত্ব নিয়েছে। আন্দারি খালের উৎপত্তিস্থলে রাবার ফ্যাক্টরি হলে এ শিশু কিশোররা দূর্গন্ধ, ধোঁয়া ও শব্দদূষণের চরম শিকার হবে। কোয়ান্টাম তাদের দায়িত্ববোধ থেকে চাচ্ছে লামা রাবারের অনেক জায়গা আছে, যেখানে সাধারন মানুষের অবস্থান নেই সেখানে ফ্যাক্টরি নির্মাণ হউক তাতে কোনো সমস্যা নেই।