নিজস্ব সংবাদদাতা
থানচি,বান্দরবান
বান্দরবানের থানচি উপজেলার বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণ (ITHCP- চতুর্থ পর্যায়) বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ২৪ মার্চ সকালের উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনের অনুষ্ঠিত কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ – আল- ফয়সাল। জার্মান ভিত্তিক কম্পারেশণ সংস্থা
(আইইউসিএন),ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (কেএফডব্লিউ) সহযোগীতায় বান্দরবানের স্বেচ্ছা সেবী ও এনজিও সংগঠন অরণ্য ফাউন্ডিশণ এর আয়োজন করেন।
সরকারী প্রতিষ্ঠান ,প্রথাগত প্রতিষ্ঠান, এনজিও,জনপ্রতিনিধি, প্রকল্পের কাজে সহায়ক প্রতিনিধিদের নিয়ে এ কর্মশালায়
অরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাছির উদ্দিন মজুমদার,প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: শরীফুল ইসলাম, সেকদু রেজ্ঞের রেজ্ঞ কর্মকর্তা মো: সোহেল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বিশ্বজিত দাশ গুপ্ত, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো, বিএনকেএস উপ- পরিচালক উবানু মারমা, বিএনকেএস পাটনার লিড ক্যইবাথোয়াই মারমা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগেই অরণ্য ফাউন্ডেশনের মাঠ সহায়ক তানভীর মোস্তফা ও সৌরভ চাকমা শংঙ্খ নদের সরকারী ভাবে রিজার্ভ ফলেস্ট প্রায় ৫ শত একরের বনাঞ্চলের বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষনের স্থানীয়দের অংশ গ্রহণ, করনীয়, বাধা, উপায়, বাস্তবায়নসহ নানান বিষয়ের
সম্ভাব্য প্রকল্পের ধারণ ও বাস্তবায়নের ভিডিও স্লাইজ মাধ্যমের উপস্থাপন করা হয়।
প্রকল্পের সংশ্রিষ্ঠরা সাংবাদিকদের জানান,
প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন এবং স্থানীয় বন নির্ভর জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করা, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা, বন নির্ভরশীলতা ও পরিবেশগত সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরণের পন্থা নির্ধারণ; প্রকল্প প্রস্তাব তৈরী ও পরবর্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সম্মতি গ্রহণ; স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বন নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে উপযুক্ত বিকল্প কর্মসংস্থান চিহ্নিতকরণ; প্রকল্প চলাকালীন সম্ভাব্য অভিযোগ ও সমস্যা সমাধানের উপায় চিহ্নিতকরণ; উপকারভোগী সম্প্রদায়ের সদস্যদের বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার পন্থা নির্ধারণ।
বক্তারা বলেন,বন্য প্রানী সংরক্ষণ না করা গেলে এক সময় প্রাকৃতির আঘাতে মানুষ ও থাকবে না।
শংঙ্খ নদের সংরক্ষিত রিজার্ভ ফরেস্ট বনাঞ্চলের যদি মানুষ বসতি থাকলে তাদের যথাযথ পুর্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহন, গাছ,বাঁশ, জুম কাটা থেকে বিরত থাকার, জনসচেতনতা সৃস্টি করতে পারলে বন্য প্রানী সংরক্ষণ ও প্রকল্পের বাস্তবায়ন করার সম্ভব এবং সর্বন্তরে সহযোগীতার আহবান জানান।