মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোরে শতাধিক অবৈধ ইটভাটায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে ফসলি জমি ও জনস্বাস্থ্য। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকার কথা থাকলেও সেটা বর্তমান নীরব ভূমিকায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় এখনো চলছে ইট ভাটা, চলছে সকল কাজ, নিয়মিত কাটছে ইট, জ্বলছে আগুন, উড়ছে ধোঁয়া দেখার মত কেউ নেই। এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন,রয়েছে থানা,রয়েছে (এ্যাসিল্যান্ড) ভূমি, কিন্তু উপজেলা প্রশাসন সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের চোখে এখন কালো চশমা দেখেও কিছু দেখছেন না তারা। পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের তথ্যমতে, যশোরের মোট ১৪৬টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০টি বৈধ। ১১৬টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৮টি ভেঙে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। জরিমানা করা হয়েছে আরও ৯টির। অবৈধ ইটভাটার তালিকার অভয়নগরে ৯টি নওয়াপাড়া পৌর সভার বুইকারা এলাকায় পাশাপাশি ২টি ভাটা রয়েছে, যেগুলো বন্ধ রাখার কথা থাকলেও রিতিমত চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় চালাচ্ছে তারা ইটভাটার কার্যক্রম, প্রশাসন নীরব ভূমিকায় এনিয়ে হাজারো প্রশ্ন জনমনে। তাহলে কি ম্যানেজ করেই চলছে ভাটা। এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সরজমিনে হাজির হয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা বুইকারা এলাকায় অবস্থিত, মেসার্স সোনালী ব্রিকস ও রুপা ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটা চলমান রয়েছে, চলছে ইট কাটা, পোড়ানো হচ্ছে ইট, শ্রমিকেরা করছে কাজ, স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইটভাটা বন্ধের কথা থাকলেও বন্ধ করে নি, এরা দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ চালাচ্ছে, বিশেষ করে আছরের পর থেকে কাদা বানায়,রাতভর ইটকাটা চলে, এখন আগের মত স্বাভাবিক ভাবেই চলছে ভাটা কার্যক্রম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন পরিবেশ বিধ্বংসী অবৈধ ভাটার কারণে ফসলি জমি ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে ভাটা। তাই অদৃশ্য নানা কারণে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে ফের সেগুলো চালু হচ্ছে। ইটভাটা চালু রেখেছেন মালিকরা। এবিষয়ে সোনালী ব্রিকস এর ভাটা কতৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে ম্যানেজার আবুল খায়ের জানান, ভাটা বন্ধ রাখতে হবে এমন কোন তথ্য বা চিঠি আমার কাছে আসেনি, আমাদের বিষয় টি আপিল করা , সে বিষয় কি সিদ্ধান্ত আমি জানি না, এবিষয়ে ভাটা মালিক সমিতি বলতে পারবে। অপর রুপা ব্রিকস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করে নি।এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী জানান আমরা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি, ভাটা মালিক ভাটা চালাবেন না মর্মে লিখিত দিয়েছেন। পরবর্তীতে চালাচ্ছে কিনা জানি না, চালালে নিউজ করেন, আমরা যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।