আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধি
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে গমচাষকে মাঠপর্যায়ে বিস্তারে পদেক্ষপ নেওয়া হলে আলীকদমে গমচাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষিবিদরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কাসেম মেম্বার পাড়াস্থ কৃষিজমিতে কারিতাসের উদ্যোগ এবং অর্থায়নে গমচাষের একটি প্রদর্শণী প্লট নিয়ে মাঠ দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কারিতাস বান্দরবান অফিসের জুনিয়র কর্মসূচী কর্মকর্তা নেছারুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সোহেল রানা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ, শান্তিরানী মিশনের সহকারি ফাদার রঞ্জিত কস্টা।
কারিতাস আলীকদম অফিসের মাঠ কর্মকর্তা জেসমিন চাকমা আলীকদমে গমচাষের সম্ভাবনার ওপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, প্রায় দুই’যুগ আগে আলীকদমে গমচাষ ছিলো বলে তারা জানতে পারেন। মাঝখানে গমচাষ হতো না আলীকদমে।
তবে বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনিস্টিটিউটের সহযোগিতা নিয়ে কারিতাসের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে গমচাষের সম্ভাব্যতার ওপর ২০১৮ সাল থেকে প্রদর্শনী প্লট নিয়ে গমচাষের শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, কারিতাস এ বছর ৮টি প্রজাতির ওপর গম চাষের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। প্রজাতিগুলো হচ্ছে বারি গম-৩০, ৩২, ৩৩ এবং বিডাব্লিউএমআরআই গম-১, ২, ৩, ৪ ও ৫। তবে এরমধ্যে আলীকদমের প্রদর্শনী প্লটে ভালো ফলন হয়েছে বারি গম-৩৩ এবং বিডাব্লিউএমআরআই গম- ৫ এর। তার মতে, সরকারি-বেসরকারী সংস্থা এগিয়ে আসলে এ চাষ আলীকদমে বৃদ্ধি করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সোহেল রানা জানান, পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে কারিতাসের উদ্যোগে ৮ প্রজাতির গমের চাষ করা হয়। তিনি কারিতাসের প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে আলীকদমে গমচাষের ওপর সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, গম শীতপ্রধান দেশের ফসল। শীত মৌসুমে বিশেষ করে নভেম্বর-ডিসেম্বর (কার্তিক) মাসে গমচাষের বীজ বপন করা হয়। তামাকের পুরোপুরি বিকল্প না হলেও গমচাষকে আলীকদমে তামাকের বিকল্প চাষ হিসেবে বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
কারিতাসের উদ্যোগে গম চাষ করে খুশী কৃষকরা, ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে যারা গমচাষ করছেন তাদের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকও যদি চাষ বৃদ্ধি করেন তবে এ উপজেলায় গমচাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে মনে করেন তারা।