মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
Notice :
ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ দেবে দৈনিক বাংলার সমাচার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও মনমনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও অঞ্চলে ২৫০ জন ‘অনলাইন করেসপনডেন্ট’ নিয়োগ চলছে

আনোয়ারায় রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়

বার্তা সম্পাদক / ৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলা রাতের আঁধারে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জে থেকে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব।যার ফলে আশঙ্কাজনক হারে কৃষিজমি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। মাটি খেকোরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে এ ফসলি জমির মাটির ব্যবসা। জমির উপরিভাগের মাটি পাঁচ/সাত ফুট গভীর পর্যন্ত কেটে নিচ্ছে তারা। এতে করে এসব জমি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে অনাবাদিতে পরিণত হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু বা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ির ভিটে, নিচু জমি, পুকুর ভরাট এবং ইটভাটায়। আবার এসব মাটি ডাম্প ট্রাক, ট্রাক্টর ও ট্রাক দিয়ে নেওয়ার সময় কৃষিজমির পাশাপাশি গ্রামীণ এবং পাকা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

জানা যায় – উপজেলার বরুমচড়া, বটতলী, জুঁইদী, রায়পুর, হাইলধর, বারখাইন ও বারশত ইউনিয়নের ফসলি জমির উপরিভাগ এক থেকে দুই ফুট গভীর করে কাটা হচ্ছে। কোথাও কোথাও কোমরসমান গভীর করে মাটি তুলে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। খননযন্ত্র দিয়ে এভাবে মাটি খননের ফলে আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। আর এসব কাজে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছে স্থানীয় কয়েকটি চক্র। জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি কেনা সহ ইটভাটায় মাটি পৌঁছানোর দায়িত্ব এসব চক্রের। বিনিময়ে তারা পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাটি কাটার ফলে কোথাও কোথাও ফসলি জমি পুকুর সমান গভীর হয়ে আছে। ট্রাক আসা-যাওয়ার ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামীণ বিভিন্ন রাস্তাও। এক ব্যক্তির কারণে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা রাস্তাও ধ্বংস হচ্ছে। এসব রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে এলাকাবাসীর।

কৃষিবিদরা বলছেন, একবার মাটি কাটা জমিতে আগের মতো উর্বরতা ফিরে আসতে কমপক্ষে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর এভাবে মাটি বিক্রি অব্যাহত থাকলে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষকদের মাটি বিক্রি না করার বিষয়ে সচেতন করার পরও তারা কথা শুনছেন না। নগদ টাকার আশায় কৃষকরা জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে সাময়িক তাদের অভাব দূর হলেও দীর্ঘ মেয়াদে উৎপাদন ব্যাহত হবে।

গত কয়েকদিন ধরে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির যোগসাজশে বরুমছড়া ইউনিয়ন থেকে ১০ টা ড্রাম ট্রাক প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত মাটি কেটে মোহছেন আউলিয়া ব্রিকসসহ বিভিন্ন অবৈধ ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান – জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ চলে আসছে। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে সড়কগুলো বেহাল হচ্ছে। যার ফলে যোগাযোগব্যবস্থাও চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে।এছাড়া সারারাত ট্রাকের চলাচল শব্দের স্থানীয়দের ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে।

মাওলানা ক্বারী ফোরকান মাহমুদ জানান- আমি ৩দিন আগে একটা প্রোগ্রাম থেকে আসতেছিলাম। রাত দের ১ টা বাজে মাটির ট্রাকের “হুলুস্থুল” অর্থাৎ খুব দ্রুত গতিতে চলতেছে। ধুলা- বালির জন্য আমরা গাড়ি চালাতে পারতেছিনা তখন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ