মফিজুর রহমান
পেকুয়া কক্সবাজার প্রতিনিধি
পেকুয়া উপজেলার মগনামায় এক সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদুর বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন অপহরণের শিকার ব্যক্তি। জানাযায়, মগনামা বাজার পাড়ার মৃত শফিউল আলমের ছেলে ¯’াানীয় ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্যে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সাবেক মেম্বার মাদুর নেতৃত্বে শহিদুল্লাহ রিদুয়ান, সুমি, নরুল ইসলাম, তালেব সহ প্রায় ১৫জন লোক রাবার ড্যাম এলাকায় ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন ও তার ভাতিজা সিএনজির গতিরোধ করে হেলালকে চোখ বেধে অপর একটি সিএনজিতে ওঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় ব্যবসায়ী হেলালের সাথে থাকা ভাতিজা পালিয়ে গিয়ে আত্মীয় সজন সহ এলাকার লোকজনকে সংবাদ দিলে প্রশাসনের সহযোগীতায় খোজ নিতে থাকে। হেলাল উদ্দিন বলেন, তাকে বারবাকিয়ার প্রায় রাস্তায় সিএনজি করে ঘুরিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বোধামাঝির ঘোনায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, সাবেক মেম্বার মাদু একজন পেশাদার ডাকাত খুনি। তিনি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে তাকে ও এলাকার লোকজকে জিম্মি করে চাদাবাজি দখল বাজি করে আসছিল। বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। বিভিন্ন সময় খুজলেও দিত না। মেম্বার মাদুর এক ভাগিনার ভাসমান লাশ প্রবাহিত খালে পাওয়াগেলে আমার কাছ থেকে চাদা দাবী করে না হত্যা মামলায় আসামী করবে বলে হুমকি দেন। আমি সে সময় আর্থিক অনটনের কারনে টাকা দিতে না পারলে আমাকে ঠিকই আসামী করা হয়। মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দিবে বলে আবারো ৭০ হাজার টাকা নেয়। চার্জশীট থেকে বাদ না দেয়ায় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বলে টাকা আরো দিবি না হয় বসতঘরে থাকতে পারবিনা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবিনা। বাড়ী ঘর দোকান সব জ¦ালিয়ে দিবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। কথায় কথায় সাবেক এমপি জাফরের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার মত নিরহ লোকজনকে ভীত করে রাখে। তিনি আরো বলেন, মাদু মেম্বারের বিরুদ্ধে হত্যা ডাকাতি চাদাবাজি ভ‚মি দস‚্যতার অভিযোগে বহু মামলা রয়েছে। বর্তমানে ওয়ারেন্টভ‚ক্ত আসামী হলেও প্রকাশ্যে সাধারণ লোকজনকে হয়রানি করে আসতেছে। ৫আগষ্ট পটপরিবর্তন হলে নিজ থেকে এসে মেম্বার মাদু আমাকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলেন। দীর্ঘদিন টাকা না দেয়ায় আমি টাকা খুজলে আবারো ব্যপরোয়া আচরণ শুরু করে। আমার দোকানের মালামাল রাতের আধারে নিয়ে যাবে দোকান বসতঘর জ¦ালিয়ে দিবে বলে হুমিক দিতে থাকে। সর্বশেষ ১০মার্চ সকাল ৭টায় আমি কক্সবাজার আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং এলাকাবাসীর তোপের মুখে প্রায় ৪ঘন্টা পর ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আমি উর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করি।
সম্পাদক-প্রকাশক: মোঃ তৌহিদুল ইসলাম । নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ ইকরামুল হাসান। বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ। উপদেষ্টা: সাইফুল ইসলাম রিমন
ঘরে বসে আপনার পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন 01616-885650