ওসমান গনি
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা বাউশিয়া পুরান ফেরী ঘাট এলাকায় উন্মুক্ত ভাবে কয়লা বিক্রি করা হচ্ছে।
এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ দূষিত হচ্ছে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবসায়ীদের উন্মুুক্ত ভাবে কয়লা বিক্রি না করতে সতর্ক করলেও ব্যবসায়ীরা মানছে না বলে জানান ভুক্তভোগী স্থানীয়রা কয়লা ব্যবসায়ীরা জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখান থেকে কার্গো জাহাজে করে বাউশিয়া পুরান ফেরী ঘাটে এনে বিক্রি করছেন তারা। বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় এই কয়লা ব্যবহার করা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,পুরান ফেরী ঘাট এলাকায় উন্মুক্ত ভাবে কয়লা ব্যবসা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কয়লা জাহাজ ও ট্রাক লোড-আনলোডের ফলে বাতাসে কয়লার ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী স্থানীয়রা জানান, নিত্যদিনের সঙ্গী কয়লার ধুলা। প্রতিনিয়িত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও ঘরের দরজা জানালা আসবাবপত্র পোশাক পরিচ্ছদ কয়লার ধুলায় সয়লাব হয়ে পড়ছে। এমনকি খাবারের সাথে খেতে হচ্ছে কয়লার ধুলা মেশানো ভাত ও তরিতরকারি। ফসলি জমিতে পরে মাটি ও কালো হয়ে যাচ্ছে। এসব জমিতে আগের মতো আর ফসল হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় কয়লা ব্যবসায়ীদের কয়লা ঢেকে বিক্রি করার নির্দেশ করলেও তা তারা মানছে না।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাতবিন ছিদ্দিক বলেন, জমিতে কয়লার স্তর পড়লে মাটি থেকে ঠিকমতো প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণে ফসলের সমস্যা হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া ইয়াকুব জানান, ধুলা ও কয়লা গুঁড়োর কারণে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ও দীর্ঘ মেয়াদি কাশি হতে পারে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেটা জটিল অসুখের দিকে যেতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।