এম.ডি জিয়াবুল
আমি রাজ্যের অধীশ্বরকে কাঁদতে দেখিনি! দেখেছি জীর্ণ-শীর্ণ বসনে কঙ্কালসার দেহ নিয়ে সরণির অলিগলিতে মুখথুবড়ে পড়ে থাকতে বেওয়ারিশি ছিন্নমূলের কান্না।
দেখেছি বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় থর-থর পা ফেলে ম্যানহোলের পাশ কেটে অবাধ সমীকরণের বৃষ্টিতে নয়নের অবিরাম লোনাজল, চির অভিমানের শহরে জীবনের অবসান ঘটাতে ঈশ্বরের কাছে চায় শুধু একখণ্ড আশ্রয়স্থল।
বংশানুগত স্বচ্ছ নিঃস্বাসের দখল নিতে সময়ের নোটিশ পড়ে থাকে অসহায়ত্বের খামে! দুর্বোধ্য আলেয়ার মাংসাশী প্রলয়ে ঘুমিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি অসংখ্য বেজন্মা।
এমএমকিটের পাষবিক হিংস্রে মাতৃগর্ভের জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা সদ্য ভ্রূণের মুষ্টিবদ্ধ হাত যেন গনতন্ত্র আদায়ে রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়া জারজের নিষ্পাপ চাহনি। ক্ষত-বিক্ষত আর্তনাদের প্রহর গুনে বিবেকহীন মানচিত্রে!
অশুভ অবনীর সুডৌল গার্হস্থে ভেসে ওঠে বিদীর্ণ জীবন। কোন এক নির্বাসিত জীবাত্মা নাগরিকত্বের অধিকার নাকচে মুচকি হাসে আবর্তনের কালো ধোঁয়ায়!
ব্যাধিগ্রস্থ মস্তিষ্কের নির্মোক থেকে বেরিয়ে আসে রাজকোষের সহিযুক্ত স্টাম্প! অতঃপর ছিনিয়ে নেওয়া হয় গনতন্ত্রীয় নাগরিকত্বের পাসপোর্ট।