সমরেশ রায় ও শম্পা দাস,
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
২৮ শে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার, বারাসতের উলা ও কদম্বগাছির সংযোগস্থলে, উলা আর্ট ফেস্টিভ্যালের উদ্যোগে এবং কনকর্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, দুইদিনব্যাপী আর্ট ফেস্টিবাল অনুষ্ঠিত হয়। এই ফেস্টিভ্যাল চলে ২৭ শে ফেব্রুয়ারী ও ২৮ শে ফেব্রুয়ারী,
এই ফেস্টিভ্যাল প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণ করে থাকেন, এমনকি এলাকার মহিলারাও। এই festival অনুষ্ঠিত হয় painting, capture, Quiz, ড্যান্স, কুকিং ও অন্যান্য বিষয়ের উপর।
আজ ২৮ শে ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠানের শেষ দিন এবং পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠান, স্বনামধন্য বিচারকের উপস্থিতিতে এবং তাহাদের বিচারে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে সূক্ষ্ম বিচারের উপর বেছে নেন।
বিচারকের আসনে উপস্থিত ছিলেন, স্বনামধন্য কবি ও সাহিত্যিক রাজু কর্মকার, উপস্থিত ছিলেন কনকর্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার দেবাশীষ ব্যানার্জি ও পিয়ালী ব্যানার্জি, উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা হাইস্কুলের শিক্ষিকা শাবানা সুলতানা, আশুরা পারভিন, মৌমিতা ব্যানার্জি ও সঞ্চালনায় জাহীর এবং যাদের উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় এই অনুষ্ঠান এলাকায় সাফল্য লাভ করেছে, একটু একটু করে বড় হয়ে উঠছে, উলা আর্ট ফেস্টিভ্যালের কর্ণধার এম ডি আলমার্স সাহা ও পিতা আনিসুর রহমান ও মাতা আমিনা বিবি, এছাড়াও সহযোগিতা করেছে স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা।
প্রত্যেক অতিথিদের অনুষ্ঠান শুরুর আগে পুষ্প ছড়িয়ে বরণ করে নেন এবং তাহাদেরকে উত্তরীয় ও ব্যাচ পরিয়ে সম্বর্ধনা জানান। প্রত্যেক বিষয়ের উপর বিচারকেরা, প্রত্যেক বিভাগ থেকে তিনজনকে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরস্কৃত করেন এবং তাহাদের হাতে পুরস্কার ও মান পত্র তুলে দেন।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে কথা বলতে গিয়ে বিচারকেরা একটা কথায় বারবার তুলে ধরেন, এবং আলমার্স কে ধন্যবাদ জানান। কারণ যে জায়গায় আলমার্স অনুষ্ঠানটি শুরু করেছে, একদিকে প্রত্যন্ত গ্রাম অন্যদিকে বেশিরভাগটাই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন, যাহাদের মধ্যে এই কালচার ছিল না বা জানতই না। পরিবারের লোকেরা তাহার ছেলে মেয়েদের আঁকতে পাঠাতো না, আজ আলমার্স এর প্রচেষ্টায় এবং উদ্যোগে সাতজন স্টুডেন্ট নিয়ে পথচলা বাড়তে বাড়তে এলাকায় বিস্তার লাভ করছে এবং তাদের অভিভাবকরা আগ্রহ প্রকাশ করছে তাদের ছেলেমেয়েদের এই কালচারে ভর্তি করতে, শুধু তাই নয় বাড়ির মহিলারা উৎসাহিত হচ্ছেন এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আলমার্স এর এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
সাংবাদিকদের সম্মুখে কথা বলতে গিয়ে আলমার্স জানান, আমি খুব ছোট্টবেলা থেকে ছবি আঁকা শুরু করেছি, কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল ভালো শিখে আমাদের সম্প্রদায়ের পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিজে হাতে শেখাবো, আজ কিছুটা হলেও সফল হতে পেরেছি এবং আমি আরো চাই আমাদের সম্প্রদায়ের যেখানে যেখানে পরিবার রয়েছে সেই সকল এলাকায় গিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করা। এবং তাহার অভিভাবকদেরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানো। আর একটা কথাই বলব সবাই পাশে না থাকলে কখনোই আমি এগোতে পারতাম না, এবং বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানাবো আমার বাবা-মাকে, যাহারা সব সময় আমাকে উৎসাহ জগিয়ে চলেছেন।
সম্পাদক-প্রকাশক: মোঃ তৌহিদুল ইসলাম । নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ শাহনেওয়াজ। বার্তা সম্পাদক: মোঃ হাসেম।
ঘরে বসে আপনার পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন 09638-574273 - 01616-885650