সমরেশ রায় ও শম্পা দাস
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
২৫ শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার, দুপুর দুটোই, কলকাতা শহীদ মিনারের সামনে, এ আই কে কে এম এস এর আহবানে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্পোরেটঘেঁষা কিষান বিরোধী কৃষি নীতির প্রতিবাদে এক বিশাল মহা সমাবেশ।
এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কমরেড শংকর ঘোষ সাধারণ সম্পাদক এ আই কে কে এম এস।
কমরেড গোপাল বিশ্বাস সম্পাদক রাজ্য কমিটির, সভাপতি কমরেড পঞ্চানন প্রধান রাজ্য কমিটি। খোদা বক্স রাজ্য কমিটি, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলার বক্তারা। সমাবেশ শুরুর আগে প্রতিষ্ঠাতা শিবদাস ঘোষ কে স্মরণ করে এবং তার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে এবং তিনি কিভাবে এই দলকে তৈরি করেছিলেন তাহা তুলে ধরে আজকের সমাবেশ সফল করেন।, একে একে বক্তারা উভয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। কিভাবে কৃষকরা লাঞ্ছিত হচ্ছে ও বঞ্চিত হচ্ছে। আজ পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে কেন এই সমাবেশে হাজার হাজার কৃষক ও মজুর উপস্থিত হয়েছেন।
হাজার হাজার কন্ঠে স্লোগান উঠেছে সর্বনাশা কৃষি বিপণন খসড়া বিল নিয়ে। তাহাদের দাবী নিউ ন্যাশনাল পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক অন এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং বাতিল করতে হবে, C2+50% ফসলের এমএস পি নির্ধারণ করে আইন সংগত করতে হবে, খাদ্যদ্রব্যের সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করতে হবে, কৃষকের ঋণ মুকুব করতে হবে, বিদ্যুৎ বিল ২০২৩ বাতিল করতে হবে এবং প্রিপেড স্মার্ট মিটার চালু করা চলবে না, জব কার্ডধারী মজুদদের অবিলম্বে কাজ চালু করে ২০০ দিনের কাজ দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে। সাটর্ধ কৃষক ও খেদমদের মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে। সরকারকে খরা বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধে উপযুক্ত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশ থেকে প্রধান বক্তা সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ তার ভাষণে বলেন ,দেশের কৃষক সমাজ আজ এক গভীর সংকটের মধ্যে আছে। ফশলের দাম নেই , অথচ সার বীজ কীটনাশক বিদ্যুৎ ডিজেল ইত্যাদি উপকরণ এর দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে চাষের খরচ ভয়ংকর ভাবে বাড়ছে। ঋণের দায়ে প্রতিদিন ৫০ জনেরও বেশি চাষী আত্মহত্যা করছে, তিনি বলেন এই সংকটের কারণ হলো, অতিতে কংগ্রেস সরকারের মতো বর্তমানের বিজেপি সরকারও কর্পোরেট পুঁজিপতি শ্রেণীর স্বার্থে কিছু নীতি গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে কর্পোরেট পুঁজি ও সিন্ডিকেট গুলি কৃষি ক্ষেত্রে তাদের শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে। এবারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে নয়া খসড়া কৃষি বিল নিয়ে এসেছে , তাতে কৃষি বিপণন সহ সমগ্র কৃষি ক্ষেত্রটি কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানান। এর ফলে কৃষক ফসলের দাম পাবে না এবং কৃষক সহ সমগ্র আমজনতাক কোম্পানীর নির্ধারিত অতি উচ্চদামে খাদ্যদ্রব্য কিনতে হবে। তিনি বলেন এই ব্যবস্থার মধ্যেও সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কিন্তু সরকার তা করবে না। সরকার কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থ রক্ষা করবে। সাথে সাথে তিনি রাজ্য সরকারকেও একহাত নিলেন, তিনি বলেন রাজ্য সরকার যদি কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিন্তু তাহলে কৃষকরা এই অবস্থায় পড়তো না। কিন্তু রাজ্য সরকারও চুপচাপ। যদিও তিনি কিছু পাট কেনেন চাষীরা ন্যায্য দাম পান না।
সম্পাদক-প্রকাশক: মোঃ তৌহিদুল ইসলাম । নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ শাহনেওয়াজ। বার্তা সম্পাদক: মোঃ হাসেম। উপদেষ্টা: সাইফুল ইসলাম রিমন
ঘরে বসে আপনার পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন 09638-574273 - 01616-885650