সমরেশ রায় ও শম্পা দাস,
পশ্চিমবঙ্গ
আজ ২০শে ফেব্রুয়ারী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকে, গত বছর বন্যা এবং ডানার দাপটে কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সরকারি হিসেবে জোনা কয়েক ক্ষতিপূরণ পেলেও, ক্ষতিপূরণ পেলেন না কয়েক হাজার কৃষক।
সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতিতে বঞ্চিত হতে হলো কেশপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের, কৃষকেরা জানান তারা কেউ পঞ্চায়েতে, কেউ আবার সমিতি এবং ভিডিও অফিসে, কেউ আবার এডিও অফিসে ফর্ম জমা করেছেন, তবে দীর্ঘ কয়েক মাস কেটে গেল এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ভুলে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষকরা।
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের দলনেতা মহম্মদ রফিক। আর এই অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো শোরগোল জেলায়, কৃষকরা ঠিকমতো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব ছিল সরকারি আধিকারীকদের, তাহলে কি তাদের নজরদারী ছিল না এই প্রশ্ন গুলো উঠে আসছে।
যদিও এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী জানিয়েছেন ,গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভাগীয় আধিকারিকরা তদন্তের রিপোর্ট জমা দিলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে এই ঘটনায় জেলাশাসকসহ বিভাগীয় আধিকারীকদের অপসারণের দাবী জানিয়েছেন বিজেপি।
বঞ্চিত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক তরজা যাই থাকুক না কেন, যে কৃষকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের বঞ্চনার দায় নেবে কে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন উঠে এসেছে, দিন হয়ে গেল কেন তারা ক্ষতিপূরণ পাননি।