আনোয়ারুল ইসলাম মামুন
শ্রদ্ধেয় আবুল হাশেম কোম্পানিকে নিয়ে লিখতে বসেছি আজ।
মরহুম লিয়াকত আলী সওদাগরের সুযোগ্য সন্তান। লিয়াকত আলী সওদাগর জীবদ্দশায় স্বনামধন্য একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সন্তান পৈতৃক ব্যবসার খ্যাতি সুনামের সহিত ধরে রেখেছেন।
শ্রদ্ধেয় আবুল হাশেম কোম্পানি আলীকদম উপজেলা ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। যদিও ওই নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ কিছু কারণে চূড়ান্ত বিজয় উনার কাছে ধরা দেয়নি। পরবর্তীতে তিনি নিজ যোগ্যতা এবং দক্ষতায় একাধারে আলীকদম উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ওই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছিলেন। এরপর তিনি ০১নং আলীকদম সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। দলের জন্য উনার ত্যাগ, তিতিক্ষার গল্প আলীকদমের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের কাছে সুস্পষ্ট।
শ্রদ্ধেয় আবুল হাশেম কোম্পানি বর্তমানে বৃহত্তর পানবাজার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্ভবত দৃতীয় মেয়াদে। পানবাজার ব্যবসায়ীদের মুখে প্রায় শুনতে পাই সভাপতি হিসেবে উনি যথাযথ। পানবাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই মানুষটা মসজিদ মাদ্রাসার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নিরবে দান করে যান। আলীকদমে প্রায়ই দেখা যায় বড় বড় মাহফিলগুলোর প্রচারণার পোস্টারে সৌজন্যে মরহুম লিয়াকত আলী স্মৃতি সংসদ। নানান সামাজিক কর্মসূচীতে মরহুম লিয়াকত আলী স্মৃতি সংসদ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। পিতার স্মরণে এই স্মৃতি সংসদের মধ্য দিয়ে উনি সামাজিক এবং ধর্মীয় কাজে ভূমিকা রাখেন।
প্রায়ই সময় দেখা যায় নানান মাহফিল, মসজিদ নির্মাণের কাজে এই মানুষটা সবাইকে সাথে নিয়ে পাশে থাকেন।
একজন ব্যবসায়ী হিসেবে উনি সফল। ছোট, বড় নানান বৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। উনার বেশ কয়েকটা বৃহৎ আকারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ছোট বড় সকলের সাথে সহজেই মিশে যান। নিরহংকারী, সাদাসিধে একজন মানুষ।
দলীয় বড় বড় প্রোগ্রামগুলো উনার অফিস সংলগ্ন করার সুযোগ করে দিতে দেখা যায় প্রায়ই।
দলের জন্য খরচের ক্ষেত্রে উনার নাম প্রথম সারিতে। যদিও গ্রুপিংয়ের সুবাদে উনি বর্তমানে দলীয় কোনো পদে নেই। উনার নামে আজ অবধি শুনলাম না বা কোনো অভিযোগ নেই একটা পয়সার অবৈধ বাণিজ্য করতে।
পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ। দল এবং ক্ষমতা উনাদের হাতেই নিরাপদ। ক্ষমতার অপব্যবহার জিনিসটা উনাকে কখনোই করতে দেখিনি। আলীকদম উপজেলার হাতেগুণা চার পাঁচটা ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মধ্যে উনার পরিবার অন্যতম। সবকিছু মিলিয়ে উনি চাইলেই করতে পারেন ক্ষমতার অপব্যবহার। অনৈতিক কাজকর্ম। অবৈধ বাণিজ্য। কিন্তু উনাকে অনৈতিক কোনোকিছু স্পর্শ করতে আজ অবধি দেখিনি।
পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক, বিশিষ্ট ধর্মানুরাগী, নিরবে দান করার মেশিন শ্রদ্ধেয় আবুল হাশেম কোম্পানির আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। এহেন মানুষের হাতে দল এবং ক্ষমতা দুটোই নিরাপদ। আলীকদমের নোংরা রাজনীতিতে সুষ্ঠুতা ফিরিয়ে আনতে আবুল হাশেম কোম্পানিদের মতো রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে আনা সময়ের দাবি।
রাজনীতিতে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের নেতৃত্ব আনাটা গুরুত্বপূর্ণ।